জইশ-ই-মহম্মদের সদর দপ্তরে তালা ঝোলাল পুলিশ

করাচি: পুলওয়ামা হামলার জেরে৷ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের জইশ-ই-মহম্মদের সদর দপ্তরে তালা ঝোলাল পাক পুলিশ৷ স্থানীয় সময় আজ বিকালে পাঞ্জাব প্রদেশের জইশ-ই-মহম্মদের সদর দপ্তর দখল পেয় পুলিশ৷ শুরু হয় তল্লাসি অভিযান৷ তবে, ওই অভিযানে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ৷ তবে, বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে বলে পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর৷ পুলওয়ামা হামলা ‘কাপুরুষোচিত’, জইশের

204abe7d5d82418e5061e67a1ca0a668

জইশ-ই-মহম্মদের সদর দপ্তরে তালা ঝোলাল পুলিশ

করাচি: পুলওয়ামা হামলার জেরে৷ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের জইশ-ই-মহম্মদের সদর দপ্তরে তালা ঝোলাল পাক পুলিশ৷ স্থানীয় সময় আজ বিকালে পাঞ্জাব প্রদেশের জইশ-ই-মহম্মদের সদর দপ্তর দখল পেয় পুলিশ৷ শুরু হয় তল্লাসি অভিযান৷ তবে, ওই অভিযানে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ৷ তবে, বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে বলে পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর৷

পুলওয়ামা হামলা ‘কাপুরুষোচিত’, জইশের নাম নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ৷ কড়া ভাষায় নিন্দা জানানো হয় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে৷ বিবৃতিতে উঠে এসেছে, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ ও তার প্রধান মাসুদ আজহারের নাম৷ জম্মু ও কাশ্মীরের আত্মঘাতী হামলা নিয়ে বিবৃতি গিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, ১৪ ফেব্রয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরে আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জইশ-ই-মহম্মদ। ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত এই ঘটনার সবচেয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা করছে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা৷ এই বিবৃতির পরই তৎপর হয়ে ওঠে পাক প্রশাসন৷

অন্যদিকে, পুলওয়ামায় আধাসেনার কনভয়ের উপর হামলা, আর প্রবল আন্তর্জাতিক চাপ। শেষ পর্যন্ত ঢোঁক গিলতে বাধ্য হল পাকিস্তান। মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়াকে নিষিদ্ধ করল তারা৷

একইসঙ্গে জামাতের দাতব্য শাখা সংগঠন ফালাহ-এ-ইনসানিয়তকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক এই খবর জানিয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পৌরোহিত্যে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ তামাম দুনিয়ার চাপে অবশেষে মান্যতা পেল ভারতের দীর্ঘদিনের দাবি।

২৬/১১ হামলা এখনও ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসের দগদগে ঘা হয়ে রয়ে গিয়েছে। সেই ২০০৮ সাল থেকেই নয়াদিল্লি হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রমাণ দাখিল করে গিয়েছে। তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। জামাত-উদ-দাওয়াকে নিষিদ্ধ করা তো দূরঅস্ত, হাফিজের বিরুদ্ধে লোক দেখানো কিছু নাটক ছাড়া কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ইসলামাবাদ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *