নয়াদিল্লি: চলে গেলেন ললিতা লাজমী। গককাল, অর্থাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারি জীবনাবসান ঘটে বিশিষ্ট এই চিত্রকরের। বলিউডের তিনি সম্পর্কে পঞ্চাশের দশকের অন্যতম খ্যাতনামা ও কিংবদন্তি পরিচালক গুরু দত্তের বোন৷ বলিউড অভিনেতা আমির খানের ‘তারে জামিন পর’ ছবিতে গুরুর ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল ললিতা লাজমীকে। সেখানে তিনি ছিলেন অতিথি শিল্পী৷ সেখানেও এক চিত্রকরের চরিত্রেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন- বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারা! টুইটে তোলপাড়া নেটপাড়া
সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ললিতা লাজমী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর৷ জাহাঙ্গির নিকোলসন আর্ট ফাউন্ডেশনের তরফে তাঁর মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়। জানা গিয়েছে, বার্ধক্যজনিত কারণেই প্রয়াত শিল্পী৷
ললিতা লাজমীর জন্ম ১৯৩২ সালে৷ তখন ভারত পরাধীন৷ জন্মস্থান ছিল কলকাতা। তিনি সম্পর্কে কিংবদন্তি পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা ও লেখক গুরু দত্তের বোন৷ ছোটবেলা থেকেই শিল্পের প্রতি অদ্ভুত টান ছিল তাঁর। শাস্ত্রীয় নৃত্যের প্রতিও ছিল বরাবরের কৌতূহল৷ কিন্তু, মধ্যবিত্ত বাঙালি বাড়ির সন্তান ললিতা তথাকথিত তালিম পাওয়ার সুযোগ পাননি। তবে নিজের উৎসাহেই রং-তুলি-ক্যানভাসের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি৷ শুরু হয় তাঁর শিল্পীজীবনের পথচলা৷ জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গমকে নিপুন ভাবে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছিলেন ললিতা লাজমী। তাঁর আঁকা ‘ডান্স অফ লাইফ অ্যান্ড ডেথ’ প্রশংসা কুড়িয়েছিল শিল্পীমহলে। দেশে ও বিদেশে প্রদর্শিত হয়েছিল তাঁর ক্যানভাসচিত্র। দাদা গুরু দত্ত তো বটেই, ললিতা লাজমীর শিল্প দ্বারা পরবর্তীতে প্রভাবিত হয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়, রাজ কাপুরের মতো দেশের তাবড়, তাবড় পরিচালকরা।
২০০৭ সালে আমোল পালেক পরিচালিত ‘তারে জামিন পর’ ছবিতে অতিথি শিল্পী হিসাবে দেখা গিয়েছিল ললিতা লাজমী। ছবিতে আমির খানের চরিত্রের নাম ছিল রাম শঙ্কর নিকুম্ভ। সেই নিকুম্ভ স্যরের গুরুর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল গুরু দত্তের বোন ললিতা লাজমীকে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>