কলকাতা: আদ্যন্ত ফিল্মি পরিবারে জন্ম৷ জীবনে এগোতে চেয়েছিলেন অভিনয়কে সঙ্গী করেই৷ কিন্তু, সেই পথ সহজ ছিল না৷ এসেছে অনেক চড়াই-উতরাই৷ অনেকবার হোঁচট খেয়েছেন, ফের উঠেও দাঁড়িয়েছেন স্মাইলি সুরি। তবে বলিউডের হাজারো নায়িকার ভিড়ে আজ তাঁকে প্রায় ভুলেই গিয়েছেন সিনেপ্রেমীরা।
আরও পড়ুন- ‘সলমনকে খুন করাই লক্ষ্য’, ভাইজানের ‘জান’ সংকটে, নিরাপত্তার কড়াকড়ি!
বলিউডে সফর শুরুর আগেই এসেছিল ধাক্কা৷ তা-ও আবার নিজের আত্মীয়ের কাছ থেকে। তিনি আর কেউ নন মহেশ-কন্যা পূজা ভাট। পূজা ছিলেন তাঁর তুতো বোন৷ শুধু ভাট পরিবারের সঙ্গেই সম্পর্ক নয়, ইমরান হাশমিও তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়৷ এছাড়া পরিচালক মোহিত সুরি হলেন স্মাইলির নিজের ভাই। তাই ছোট থেকেই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের মতো শব্দগুলো ছিল তাঁর অতিপরিচিতি৷ এ হেন ‘ফিল্মি’ পরিবারের মেয়ে যে অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নেবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক।
স্মাইলিও জন্য অভিনয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করেছিলেন পূজা৷ তাঁর পরিচালিত ‘হলিডে’ ছবিতে মুসকানের চরিত্রে স্মাইলিকেই বেছেছিলেন তিনি। শুরু হয়ে গিয়েছিল শুটিংও৷ কিন্তু হল না মধুরেণ সমাপয়েৎ৷ অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ নিয়ে যখন স্বপ্নে বিভোর স্মাইলি, তখন আচমকাই নিজের ছবি থেকে স্মাইলিকে সরিয়ে দেন পূজা৷ শুরুতেই হোঁচট খান স্মাইলি৷ বলিউডে শুরু হয় কানাঘুষো৷ তিনি নাকি একেবারেই অভিনয়টা পারেন না৷ সেই জন্যই ‘হলিডে’ ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে স্মাইলিকে৷ কিন্তু ভাগ্য তাঁর জন্য কিছু অন্যই লিখে রেখেছিল৷
২০০২ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘হলিডে’৷ স্মাইলির জায়গায় সেই ছবিতে আনা হয় অঞ্চলি নায়ারকে৷ তবে নানা কারণে সেই ছবির মুক্তি পিছিয়ে যায়৷ ‘হলিডে’ মুক্তির আগের বছরই সাড়াজাগানো অভিষেক হয় স্মাইলির৷ দিদিকে নিজের ছবিতে নিয়ে আসেন ভাই মোহিত সুরি৷ ২০০৫ সালে মুক্তি পায় ‘কলিযুগ’৷ এই ছবি স্মাইলির পাশাপাশি ছিল কুণাল খেমুর কাছেও অগ্নি পরীক্ষা৷ ওই ছবিতে স্মাইলি গ্ল্যামারহীন, পাশের বাড়ির মেয়ের ইমেজে ধরা দিলেও, কুণালের সঙ্গে তাঁর জুটি মনে কাড়ে দর্শক-সমালোচকদের৷ এই ছবির গান আজও ভোলেনি দর্শক৷
‘কলিযুগ’-এর পর আরও চারটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন স্মাইলি৷ তবে ছাপ ফেলতে পারেননি৷ আর শ্যুটিং শেষ করলেও মুক্তি পায়নি তাঁর ষষ্ঠ ছবি৷ এর পর নাচকে আঁকড়ে ধরেন স্মাইলি৷ শামক ডাবরের নামের ক্লাসে ভর্তি হন৷ তামিল নেন গুরু বিজয়শ্রী চৌধুরীর কাছেও৷ এছাড়াও সন্দীপ সোপরকরের গ্রুপে যোগ দিয়ে লাতিন এবং বলরুম ডান্সের ছন্দেও মেতেছিলেন তিনি।
বড় পর্দায় ছাপ ফেলতে না পেরে ছোটপর্দায় ভাগ্য পরীক্ষা করেন৷ ‘জোধা আকবর’ ধারাবাহিকে আকবরের স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে৷ সেই সময় সালসা শিখতে শুরু করেছিলেন বিনীত বঙ্গেরার কাছে৷ পরবর্তীতে তাঁর সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধেন৷ ‘নাচ বলিয়ে’-র সপ্তম মরসুমেও দু’জনে একসঙ্গে টিভির পর্দা মাতিয়েছিলেন। তবে মাত্র চার বছরের মাথায় ফের আসে ধাক্কা৷ স্মাইলিকে ছেড়ে যান বিনীত৷ বিচ্ছেদের সেই ধাক্কা সহ্য করতে পারেননি স্মাইলি৷ মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন৷ উদ্বেগজনিত সমস্যাও দেখা দেয়৷ ওজনও বেড়ে যায় ‘কলিযুগ’ অভিনেত্রীর৷ সেখান থেকে বেরতে ফের নাচকেই অস্ত্র করেন স্মাইলি৷ শুরু করেন পোল ড্যান্স৷ মুম্বইয়ের ব্রান্দ্রা এবং চেম্বুরে ২টি স্কুলও খুলেছেন তিনি।
স্মাইলি বলেন, এখনও চোখের জলে কাটে বহু বিনীদ্র রজনী৷ কিন্তু যখন কোনও শিক্ষার্থী জানায় যে আমার নাচের প্রশিক্ষণে তাঁর মনোবল বেড়েছে, তখন নতুন করে ভরসা পাই।’’
আবার জীবনে রূপ থাকালেও, প্রেম সকলের ভাগ্যে জোটে না৷ হোপ সুইংয়ের কাহিনিটা অনেকটা তেমনই৷ ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা বছর ২৪ এর হোপ টিকটকে অত্যন্ত জনপ্রিয়৷ ইনস্টাগ্রামেও তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তা৷ কিন্তু তা সত্বেও তিনি ‘সিঙ্গেল’৷
সম্প্রতি টিকটকে নিজের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে হোপ নিজের একাকী জীবনের কারণ জানান। হোপের দাবি, তিনি এতটাউ সুন্দরী এবং লাস্যময়ী যে ছেলেরা তাঁকে প্রেম নিবেদন করতে ভয় পান। তিনি জানান, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সুন্দরী হওয়াটাই অপরাধ। এই সৌন্দর্য তাঁর কাছে ‘পাপ’৷ হোপের কথায়, ‘‘সুন্দরী হওয়ার জন্য প্রেমিক জোটে না, এই বিষয়ে কেউই আলোচনা করেন না। কিন্তু আমি সুন্দরী হওয়ার জন্য নিজেকেই দোষ দিই।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>