কলকাতা: তিনি বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’৷ তাঁর প্রেমে পাগল অগনিত পুরুষ হৃদয়৷ তাঁর রূপের আগুনে দগ্ধ হয়েছিলেন বলিউডের ‘হি ম্যান’ ধর্মেন্দ্র৷ একজন বিবাহিত পুরুষ এবং চার সন্তানের বাবা হওয়া সত্ত্বেও হেমার প্রেমে হাবুডুবু খান তিনি৷ হেমার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতেই কটাক্ষের শিকার হন অভিনেতা৷ তাঁকে ‘অন্য নারীতে আসক্ত’ পুরুষ বলে তকমা দেওয়া হয়৷ অন্যদিকে, হেম মালিনীর কপালে জোটে সংসার ভাঙার অভিযোগ৷ ধর্মেন্দ্র-হেমার প্রেম কাহিনী কারও অজানা নয়৷ কিন্তু দীর্ঘ দিন ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে ঘর করার পরও আলোর রোশনাই থেকে বহু দূরে থেকে গিয়েছেন তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী৷ হেমাকে বিয়ের পর ধর্মেন্দ্র যখন সমালোচনার কাঁটায় বিদ্ধ তখন ক্যামেরার সামনে এলেন তিনি৷ স্বামীকে হারিয়েও তাঁর পাশে দাঁড়ালেন প্রকাশ কউর৷
বলিউডে কেরিয়ার গড়ার আগেই ১৯৫৪ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রকাশের সঙ্গে বিয়ে হয় অভিনেতার৷ দুই পুত্র আর দুই কন্যাকে নিয়ে ছিল তাঁদের সংসার৷ সেই সংসারে ভাঙন ধরায় ধর্মেন্দ্র-হেমার প্রেম৷ স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ১৯৮১ সালে প্রথমবার সাক্ষাৎকার দেন প্রকাশ৷ সেখানে স্বামীর বিরুদ্ধে এতটুকু অভিযোগ জানাননি তিনি৷
ওই সাক্ষাৎকারে প্রকাশ বলেন, ‘‘হেমা এত সুন্দরী যে, ওঁর জন্য যে কোনও পুরুষ পাগল হতে পারে৷ ধর্মেন্দ্রের জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও একই কাজ করতেন।’’ ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘অর্ধেক ইন্ডাস্ট্রিই তো পরকীয়া করছে। ধর্মেন্দ্র তো আলাদা কিছু করেনি। তাহলে ওঁকে নিয়ে এত কথা কেন?’’
প্রকাশ দাবি করেন, স্বামী হিসাবে না হলেও, বাবা হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালন করেন ধর্মেন্দ্র। তার পরেই প্রকাশ বলেন, ‘‘আমি বলব না যে ও রোজ রাতে আমার জন্য বাড়ি ফিরে আসে। তবে হ্যাঁ, ও যে আমাদের সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য বাড়ি আসে, সেটা হলফ করে বলতে পারি।’’
এই ঘটনার জন্য তিনি নিজের ভাগ্যকে না ধর্মেন্দ্রকে দোষ দেবেন, তা বুঝে উঠতে পারেননি৷ তবে তিনি বলেন, ‘‘আমি এবং আমার সন্তানরা ওকে খুব ভালবাসি। আমি জামি আমাদের যে কোনও প্রয়োজনে ও ছুটে আসবে।’’
হেমার জন্যেও খানিকটা সমর্থনের সুর শোনা যায় প্রকাশের গলায়। তিনি বলেন, ‘‘হেমার উপর দিয়ে যে কী ঝড় বইছে, সেটা এক জন নারী হয়ে আমি বুঝতে পারি।’’ তবে তিনি স্পষ্ট জানান, ‘‘নারী হিসাবে ওঁর পাশে থাকলেও এক জন স্ত্রী ও এক জন মা হিসাবে আমি হেমাকে সমর্থন করি না।’’ শোনা যায় তাঁদের বড় ছেলে সানি দেওয়ালের কেরিয়ার গড়ে দেওয়ার শর্তে ধর্মেন্দ্রকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন প্রকাশ৷ যদিও তিনি সে কথা অস্বীকার করেন৷
এদিকে, শিরোনাম কেড়েছে দক্ষিণী তারকা জুটি সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্যর বিবাহবিচ্ছেদ৷ বিচ্ছেদের বছর দেড়েক পরেও তাঁদের নিয়ে চর্চা থামার নাম নেই। প্রেমজীবন নিয়ে যতটা প্রচারের আলোয় কেড়েছিল এই তারকা জুটি, তার চেয়ে ঢের বেশি জল্পনা হয়েছে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে। এদিকে, বিচ্ছেদের পর নিজেকে আরও বেশি করে কাজে ব্যস্ত রেখেছেন সামান্থা। নাগার জীবনেও এসেছেন নতুন নারী। ‘দ্য নাইট ম্যানেজার’ খ্যাত অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুঞ্জন এখন চারিদিকে। তবে পুরনো সম্পর্ক নিয়ে তিক্ততা পুষে রাখতে নারাজ নাগা৷ তাই সামান্থাকে নিয়ে যখন মুখ খুললেন, শোনা গেল ঢালাও প্রশংসা৷
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাগা চৈতন্যকে প্রশ্ন করা হয়, সামান্থার কোন গুণ তিনি সব থেকে বেশি পছন্দ করেন। প্রাক্তন স্ত্রীর বিষয়ে প্রশ্ন শুনে তা এড়িয়ে যাননি তিনি। বরং নিজস্ব ভঙ্গিতেই বলেন, ‘‘সামান্থা অত্যন্ত পরিশ্রমী। ওর মনের জোর অসামান্য। ও যদি মনে করে কোনও কিছু অর্জন করবে, তা হলে সেটা ও করেই ছাড়বে।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>