কলকাতা: পাপারাৎজিদের শিকারি লেন্স থেকে কোনও কিছু আড়াল করা তারকাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ৷ একটু ফাঁক থাকলেই ব্যস৷ টুক করে লেন্সবন্দি করে নেবেন শাটারবাগরা৷ বেশ কিছুদিন ধরেই ওত পেতে ছিলেন ফটোশিকারীরা৷ অবশেষে দেখা মিলল রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের ছোট্ট মেয়ে রাহার৷
তার এক ঝলক পেতে দিন গুণছিলেন অনুরাগীরাও। কিন্তু, কিছুতেই দেখা মিলছিল না রণবীর-কন্যার৷ পাপারাৎজিরা তাক করে থকলেও অত্যন্ত সতর্ক রণলিয়া৷ অবশেষে পর্দা উঠল৷ শনিবার মেয়ে রাহাকে সঙ্গে নিয়ে ননদ করিনা কপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন আলিয়া। করিনা সম্পর্কে রণবীরের তুতো বোন। সেই সময় বেবোর বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন পাপারাৎজিরা। রাহাকে কোলে নিয়ে আলিয়া করিনার বাড়িতে ঢুকতে গেলেই ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁরা। যদিও ক্যামেরার লেন্স থেকে রাহার মুখ লুকিয়ে রাখার জন্য অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যান আলিয়া। অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাহার সর্বক্ষণের দেখভালের সঙ্গীও।
তবে ওই ভিডিয়োতে পাপারাৎজিরা আলিয়ার মুখ প্রকাশ করেনি৷ আর এতে বেশ খুশি আলিয়ার ভক্তরা৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভক্ত লেখেন, ‘আপনারা ওঁদের গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন দেখে ভালো লাগছে।’
গত বছর নভেম্বরে জন্ম হয় রাহার৷ এর পরেই আলিয়া এবং রণবীর সকলকে অনুরোধ করেছিলেন, তাঁদের ছবি তোলার সময় যেন তাঁদের মেয়ের গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। করিনার পডকাস্ট হোয়াট উইমেন ওয়ান্ট-এ এসেও একই কথা বলেছিলেন রণবীর। তাঁর কথায়, ‘অভিভাবক হিসাবে আমরা যতটা রাহার গোপনীয়তা রক্ষা করার চেষ্টা করব। আমরা চাই ও যাতে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে। স্কুলে যাতে ওকে অন্য বাচ্চাদের থেকে আলাদা মনে করা না হয়। ওর একটা স্বাভাবিক জীবন থাকা উচিত। একটা সময় পর নিশ্চয়ই সবাই দেখতে পাবে। নাহলে রাহা ৪-৫ বছর পরে এসে বলবে, কেউ আমার ছবি তোলেনি। সবাই জেহ-তৈমুরের ছবি তুলেছে।’
এদিকে, মাখোমাখো প্রেমের রসায়ন তৈরি হয়েছে টলিপাড়ায়৷ বেশ কয়েকদিন ধরেই চর্চায় আদৃত রায় এবং কৌশাম্বি চক্রবর্তীর প্রেম কাহিনী৷ যদিও অতীতে নিজেদের ‘ভালো বন্ধু’ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন দুই তারকা। তবে অনেকেরই দাবি করেন, তাঁরা একে অপরের ‘বিশেষ বন্ধু’৷ এদিকে, জন্মদিনে মা এবং কৌশাম্বির সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে আদৃতকে। এই বিষয়টি নজর এড়ায়নি অনেকেরই৷ আর এটা দেখেই দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিয়েছেন অনেকেই। তবে এবার একেবারে দিদি’র কবলে পড়লেন কৌশাম্বি৷ আদৃতর প্রসঙ্গে চেপে ধরলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি দিদি নম্বর ওয়ানে খেলতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী৷ কৌশাম্বিকে কাজ নিয়ে প্রশ্ন করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও প্রশ্ন করেন রচনা৷ কৌশাম্বী জানান, ‘মিঠাই’-এর পর ‘ফুলকি’-তে দেখা যাবে তাঁকে৷ ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী সাফ জানান, তিনি নিজের জীবন গুছিয়ে নিতে চান। অভিনেত্রীর মুখ থেকে কথা পড়তেই রচনার প্রশ্ন, ‘কার সঙ্গে?’
এর পরেই রচনা বলেন, ‘আমরা সবাই জানি… সবাই সব জানে…।’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনে হেসে ফেলেন কৌশাম্বিও৷ এর পর রচনা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আমার তো করোলা খেতে ভালো লাগে। তোমার উচ্ছে ভালো লাগে?’
সঞ্চালকের ওই প্রশ্ন শুনে তখন হাসির রোল সেটে। সকলেই বুঝে ফেলেন যে, মিঠাইয়ের উচ্ছেবাবু ওরফে আদৃতকে নিয়েই কথা বলছেন রচনা৷ লজ্জায় রাঙা হয়ে কৌশাম্বিও বুঝিয়ে দেন, কুছ কুছ হোতা হ্যায়!
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>