‘ডাঙ্কি ফ্লাইট’ কী? শাহরুখের ছবির সঙ্গে এর কী সম্পর্ক

‘ডাঙ্কি ফ্লাইট’ কী? শাহরুখের ছবির সঙ্গে এর কী সম্পর্ক

Understanding

কলকাতা: চলতি বছরে ব্যাক টু ব্যাক ১০০০ কোটির ব্যবসা বলিউডকে করে দিয়েছেন তিনি। সেই অর্থে হ্যাটট্রিক মারতে আবার ডিসেম্বরে বড় পর্দায় আসছেন কিং খান শাহরুখ। তাঁর সঙ্গে পরিচালক রাজকুমার হিরানির বহু প্রতীক্ষিত ‘কোল্যাব’ দেখার আনন্দ অনুরাগীদের আরও বিচলিত করে তুলেছে এখন থেকেই। কারণ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছবির একটি টিজার। তবে সবথেকে বেশি চর্চা যা নিয়ে হচ্ছে তা হল ছবির নাম, ডাঙ্কি। কী অর্থ এই নামের? ছবির মূল বিষয়ই বা কী হবে? জানার আগ্রহ সকলের। 

সবার আগে জানা দরকার এই শব্দের উচ্চারণ ‘ডুঙ্কি’ বা ‘ডঙ্কি’ নয়, ‘ডাঙ্কি’। তবে হ্যাঁ, এর সঙ্গে গাধার সম্পর্ক আছে! তবে তার সঙ্গে আরও একটি বড় বিষয় হল ‘ডাঙ্কি ফ্লাইট’। এই পদ্ধতিতে বৈধ কাগজপত্র ছা়ড়া এক দেশ থেকে অন্য দেশে বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশ করা যায়। যদিও এটি সরাসরি কোনও বিমানযাত্রা নয়। ভারত থেকে আমেরিকা, কানাডা এবং ব্রিটেনের মতো একাধিক দেশগুলিতে প্রবেশের বেআইনি কৌশলকে ‘ডাঙ্কি ফ্লাইট’ বলে। যেহেতু এই যাত্রা বেআইনি তাই স্বাভাবিকভাবেই অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় যাত্রীদের। একাধিক বিপদসঙ্কুল পথ পেরোতে হয় তাদের। তাও সবাই যে সেই পথ পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন এমনটা নয়। 

‘ডাঙ্কি ফ্লাইট’ পদ্ধতি  

এই কথাটির জন্ম পঞ্জাবে। যার অর্থ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরতে থাকা। মূলত পঞ্জাবিরা প্রায়ই নিজেদের পছন্দের দেশে প্রবেশের জন্য অবৈধ পথ ব্যবহার করেন। যদিও মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের মতে, ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে এই বিষয়টি। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে বহু মানুষ বিদেশ গিয়েছেন বা যান, কিন্তু জীবনের ঝুঁকি থাকে প্রচুর। 

প্রথমে বেশ কয়েকটি ‘ট্রাভেল এজেন্সি’ ভিসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশে যেতে ইচ্ছুকদের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করে। তারপর মূলত মালবাহী জাহাজের মাধ্যমে তাদের অন্য দেশে অনুপ্রবেশ করানো হয়। মাঝে কখনও পেরতে হয় মরুভূমি, কখনও ঘন জঙ্গল। দুঃসহ গরম, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, সবই ঝেলতে হয়। বিভিন্ন জায়গায় এই সব মানুষদের ‘ড্রপ’ করে দেওয়ার জন্য এজেন্টরা থাকেন। তারাই পুরো পদ্ধতি পরিচালনা করেন। কিন্তু এইসব মানুষদের শেষমেষ প্রতারিত হতে হয়। কারণ কেউই আর দেশে ফিরে আসার ব্যবস্থা করতে পারেন না নিজে থেকে। কারণে পুরো বিষয়টাই অবৈধ। টাকার বিনিময়ে তাঁদের ভুয়ো অনুমতিপত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়।

অনুমান করা হচ্ছে, রাজকুমার হিরানির আসন্ন ছবিতে এই বিষয়টিই উঠে আসতে চলেছে। ছবির প্রথম যে টিজার এসেছে তাতে ইঙ্গিত মিলেছে, অবৈধ ভাবে কয়েক জন যুবক-যুবতীর ভারত থেকে লন্ডনে পাড়ি দেওয়ার গল্প বলবে এই ছবি।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + five =