আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা মিম খুব পরিচিত। বিছানার উপর বালিশে হেলান দিয়ে বসে রয়েছে বেশ নাদুসনুদুস একটা বিড়াল। আর সে ভাবছে ‘দীপাবলি তো এসে গেল। এ বার ভুড়িটা কমাতেই হবে।’ সত্যিই তো বাঙালির সাধে বড়দিনের উৎসব বলে কথা৷ অনেকেই রীতিমতো শপিংও শুরু করে দিয়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জিমে গিয়ে কসরত করা। জিমে যাওয়ার সুযোগ না হলে বাড়িতেই চলছে শারীরিক কসরত। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে যাঁরা সারা বছর আলসেমি করে কাটান, সকালে ঘুম থেকে ওঠেন না, তাঁরাও দিব্যি যাচ্ছেন মর্নিং ওয়াকে। পা মেলাচ্ছেন জগিংয়ে। খাওয়াদাওয়াতেও রাশ টেনেছেন। কারণ একটাই। ওজন কমাতে হবে। অবশ্য মাসল উদ্দেশ্য হলো ভুঁড়ি বা বেলি ফ্যাট কমানো। বড়দিনের সময় সবার নজর যে কাড়তেই হবে। অতএব স্লিম হওয়া মাস্ট। আর এই দিকে সবচেয়ে বেশি ঝোঁক কিন্তু তরুণ প্রজন্মের।
কিন্তু এই ডায়েটিং করে ভুঁড়ি কমানোর জেরেই তৈরি হয় বহু সমস্যা। কম সময়ে ওজন কমাতে হবে। অতএব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আচমকাই খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন তরুণ-তরুণীরা। আর এই ক্র্যাশ ডায়েটের ফলেই আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে নানা রোগ। এমনকী অপুষ্টির শিকার হতে পারেন আপনি। চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন, ক্র্যাশ ডায়েট এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জিম করা শরীরের জন্য অত্যন্ত হানিকারক।
তাহলে উপায়?
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়মে থাকা। আর সেটা সারাবছর। নিউট্রিশনিস্ট কিংবা ডায়েটিশিয়ান সবারই একটাই মত। অল্প সময়ে ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে থাকা বা ক্র্যাশ ডায়েট করা কখনই যুক্তিযুক্ত নয়। বরং সারা বছর রুটিন মেনে চললেই আপনি থাকবেন স্লিম অ্যান্ড ট্রিম। আর স্লিম থাকার ইউএসপি একটাই। সঠিক ভাবে খাওয়াদাওয়া করা এবং প্রতিদিন একটু এক্সারসাইজ করা। মাঝে মাঝে অনিয়ম হতেই পারে। ইচ্ছে হতেই পারে মনের সুখে পেটপুজো করার। কিন্তু এই ‘চিট ডায়েট’ সবসময়ের জন্য একেবারেই নয়। সম্প্রতি California Polytechnic State University-র একটি রিসার্চে বলা হয়েছে সেই অর্থে ‘বেলি ফ্যাট’ কমানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনও খাবার নেই। তবে ওই রিসার্চ জানিয়েছে, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে সাধারণত শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে না। Health and Fitness Journal-এর একটি রিপোর্টেও বলা হয়েছে এই একই কথা। সেখানেও বলা হয়েছে, ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে আপনার শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ কমবে। বিশেষ করে কমবে তলপেটের ফ্যাট।