ম্যাঞ্চেস্টার: বার্সেলোনা ফিরল এক গোল সঙ্গে করে। ম্যাঞ্চেস্টারের বিরুদ্ধে গোল অনায়াসে হয়নি। সেই গোল ধরে রাখাও সহজ ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেসিরাই জিতলেন। ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলেন প্রথম লেগে। বার্সেলোনাকে সেরা ছন্দে পাওয়া যায়নি। বা বলা ভালো মাঝমাঠের জটে আটকে পড়েছিলেন।
ওলে গানার সলশেয়ারের তৈরি মাঝমাঠে ফিকে হয়েছিলেন রাকিটিচ-আর্থাররা। বার্সেলোনার খারাপ দিনেও তাদের বাগে আনা সম্ভব হয়নি। খেলা যখন শুরু হয় তখন দাপট ছিল বার্সেলোনারই। গোলও আসে সেই সময়ই। প্রথম বাইশ মিনিটে ৭৬ শতাংশ বলের দখল ছিল মেসিদের। ২৪ শতাংশ ম্যাঞ্চেস্টারের। ১৯৪ সেকেন্ডে ৪৭ পাস খেলে বার্সেলোনার ১১জন। মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানের পাস দিয়ে শুরু হওয়া খেলা শেষ হয় লুক শ’র আত্মঘাতী গোলে। লাইনসম্যান অফ সাইডের নির্দেশ দিলেও। ভিডিও অ্যাসিস্ট রেফারি সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
কড়া মার্কিংয়ে দমবন্ধ করা অবস্থা তৈরি করেছিলেন মেসির জন্য। জায়গা পাননি খেলার। একবার সুযোগ পেলেন। একটা ছোট্ট পাস সুয়ারেজের হেড বাঁচাতে গিয়ে নিজের গোলেই ঠেলে দেন লুক শ’। এক গোলে পিছিয়ে যায় মাত্র ১২ মিনিটের মাথায়। এরপর অবশ্য স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি। বল দখলের লড়াইতে ক্রিস স্মলিংয়ের ছুঁড়ে দেওয়া হাতে নাক থেকে রক্ত ঝরে গলগলিয়ে। মাঠ ছাড়েন। ফিরে আসেন কিছুক্ষণের মধ্যেই। ততক্ষণেই স্বাভাবিক খেলা নষ্ট হয়। নাক ফুলে ওঠে। কিন্তু খেলা চালিয়ে যান। মেসিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি সারা ম্যাচে। ছকে বাধা নিয়মে মেসিকে রোখা সম্ভব নয়। সে কথা জানতেন স্মলিং। তাই মেসিকে আটকাবেন কিভাবে তার জবাবে বলেছিলেন, ‘আসতে দিন ওকে।’ কড়া ট্যাকেলে নয় আহত হয়েই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যান মেসি।