নন্দীগ্রামের অশান্ত সময়ের স্মৃতি উসকে দিলেন মমতা

নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই নাম না করে লক্ষ্ণণ শেঠের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অশান্ত সময়ের স্মৃতি উসকে বাজকুলের সভায় মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানালেন, সেদিনের অত্যাচারীদের তৃণমূলে কোনও জায়গা হবে না। একই সঙ্গে লক্ষ্মণ শেঠের তৃণমূলে যোদ দেওয়ার জল্পনায় কার্যত দল ঢেলে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। সিপিএম ও বিজেপির থেকে দূরেও থাকার পরামর্শ দেন তিনি। নেতাই থেকে ছোট

নন্দীগ্রামের অশান্ত সময়ের স্মৃতি উসকে দিলেন মমতা

নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই নাম না করে লক্ষ্ণণ শেঠের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অশান্ত সময়ের স্মৃতি উসকে বাজকুলের সভায় মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানালেন, সেদিনের অত্যাচারীদের তৃণমূলে কোনও জায়গা হবে না। একই সঙ্গে লক্ষ্মণ শেঠের তৃণমূলে যোদ দেওয়ার জল্পনায় কার্যত দল ঢেলে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। সিপিএম ও বিজেপির থেকে দূরেও থাকার পরামর্শ দেন তিনি। নেতাই থেকে ছোট আঙারিয়া- মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের সিংহভাগ জুড়েই এজিন ছিল রক্তাক্ত নন্দীগ্রামের স্মৃতি রোমন্থন। বাজকুলের প্রশাসনিক সভায় বিরোধীদের মোকাবিলায় উন্নয়নের প্রচারও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সফরে মঙ্গলবারই দিঘায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার সেখান থেকেই যোগ দেন বাজকুলের সভায়। শুরু থেকেই সিপিএমকে আক্রমণ শুরু করেন। বাম শাসনকালে রাজ্যকে ছারখার করে দেওয়ার অভিযোগ করেন মমতা। টেনে আনেন নন্দীগ্রাম, খেজুরি, নেতাই-সহ নানা অশান্তির ঘটনা। বাম আমলের ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দিয়েই সিপিএমের পাশাপাশি বিজেপির সমালোচনা করেন। নাম না করে সমালোচনা করেন প্রাক্তন বাম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠেরও। বাজকুলের সভাতেও বিজেপির রথযাত্রাকে রাবণযাত্রা বলে কটাক্ষ করেছেন। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করেই বিজেপিকে তাড়ানোর হুঁশিয়ারিও দেন। বিজেপির বিরুদ্ধে হিন্দুত্বের লাইন ও জাতপাতের রাজনীতির অভিযোগ ছিল। অধিকারী পরিবারের জেলাতেও বিজেপির ভোট বৃদ্ধি ভাবাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভালো ফল না করলেও বিজেপি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা তৃণমূলের। এদিন সভাতেও সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। সরকারি পরিষেবায় দুর্নীতি দূর করতে প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি দলের নিচুস্তরের নেতা-কর্মীদেরও সতর্ক থাকতে বলেছেন মমতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + 6 =