ঘানা: বিয়ের পর বেশিরভাগ যুবকই স্ত্রীর অনুরাগী হয়ে ওঠেন, নিন্দুকরা এই সুযোগে তাঁদের স্ত্রৈণ্য বলতেও ছাড়েন না। কিন্তু স্ত্রীর ভয়েও যে অনেকে কাঁটা হয়ে থাকেন সেকথাও সর্বজনবিদিত। সেই ভয়ও যে কী মাত্রায় যেতে পারে তা এই নারী দিবসে একবার আলোচ্য হতেই পারে।
তবে এমন ভয়ও আনকোরা তাতে সন্দেহ নেই, স্ত্রীর গলাবাজির ভয়ে টানা ৬২ বছর বোবা কালার অভিনয় করে গেলেন স্বামী। এক ছাদের তলায় সংসার ধর্ম পালন করেও স্বামীর এহেন পণ টের পাননি স্ত্রী। তবে এই লুকাছুপি ধরিয়ে দিল সোশ্যাল মিডিয়া, চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়াটার বেরি এলাকায়। স্ত্রী ভাবতেন তাঁর স্বামী বোবা-কালা, তাই নিজেই স্বামীর সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্নদের সহযোগিতার জন্য তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ডরোথি নামের ওই গৃহবধূ বিশেষ প্রশিক্ষণও নেন। ভেবেছিলেন স্বামী বেরি ডওসন এতে খুশি হবেন। তবে স্ত্রী ইঙ্গিতে ইশারায় কথা বললেও ডওসন তার কিছুই বুঝতে পারতেন না। ডরোথি ভাবতেন অভিমানে ডওসন এমন আচরণ করছেন। ৬২ বছরের দাম্পত্যে এনিয়ে কোনও গোলমালও হয়নি, যদি না ইউটিউব ডওসনের গায়কির ভিডিও ডরোথির সামনে না নিয়ে আসতো। যে গৃহযুদ্ধ এতদিন সহানুভূতির আড়ালে মূক ছিল, সেই ভিডিওই পুরনো দাম্পত্য কলহকে জাগিয়ে দিল। যার পরিণতি গড়ালো কাঠগড়া পর্যন্ত। বিয়ের তিনবছরের মাথায় হতে বসা ডিভোর্স বুড়ো বয়সে সম্পন্ন হল।
জানা গিয়েছে, ডরোথি নাকি বেজায় বাচাল তাঁর গলাবাজিতে কাকচিল বসত না বাড়িতে। বিয়ের তিন বছর যেতে না যেতেই ডওসন অতিষ্ট হয়ে ওঠেন। তারপর এক বন্ধুর পরামর্শে স্পিকটি নট ব্রত নেন। বাড়িতে জানানো হয় শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাক ও শ্রবণ শক্তি হারিয়েছেন তিনি। এরপর ডরোথি নিজেকে সামলে নেন। স্বামীকে সাংসারিক জটিলতার মধ্যে আর ফেলেননি। দেখতে দেখতে ৬০টি বসন্ত পেরিয়েছে। সংসার বেড়েছে কোল আলো করে ছয় সন্তান এসেছে। তাদের বিয়ে হয়েছে ১৩জন নাতি নাতনি ডরোথি ডওসনের পরিবারের সদস্য। ডরোথি বাড়িতে থাকলেো ডওসনা নিয়মিত বেরোতেন, তাই বাইরে তিনি স্বাভাবিক মানুষ। সংসারের অন্দরে বোবা কালা। সম্প্রতি কোনও এক ইভেন্টে গিয়ে গলা ছেড়ে গানও গেয়েছেন ডওসন, সেখানকার কোনও দর্শক সেই ভি়ডিওটি ইউটিউবে প্রকাশ করতেই ডরোথির নজরে পড়ে। বরের এহেন মানসিকতার পরিচয় পেয়ে রেগে কাঁই স্ত্রী সোজা আদালতে মামলা ঠুকলেন, এবার তো বিহিত করতেই নয়।