আসুন, হস্টেল, মেসের উদ্বৃত্ত খাবার পৌঁছে দিই গৃহহারা অসহায় শিশুদের কাছে

আমি, রিয়া আগরওয়াল মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী। পড়ি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। থাকি ক্যাম্পাসের স্বর্ণময়ী গার্লস হস্টেলে। পড়াশুনো সামলে মেসের কাজ করতে হয়। হস্টেলের আবাসিকদের থেকে খাবারের জন্য টাকা সংগ্রহ করতে হয়। তারপর কী মেনু হবে তা মেসকর্মীদের বুঝিয়ে দিতে হয়। পুরো বিষয়টা তত্ত্বাবধান করতে হয়। প্রয়োজনে খাবার বিলিও করতে হয়। রাস্তার ধারের অসহায় শিশুদের মুখগুলো

আসুন, হস্টেল, মেসের উদ্বৃত্ত খাবার পৌঁছে দিই গৃহহারা অসহায় শিশুদের কাছে

আমি, রিয়া আগরওয়াল মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী। পড়ি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। থাকি ক্যাম্পাসের স্বর্ণময়ী গার্লস হস্টেলে। পড়াশুনো সামলে মেসের কাজ করতে হয়। হস্টেলের আবাসিকদের থেকে খাবারের জন্য টাকা সংগ্রহ করতে হয়। তারপর কী মেনু হবে তা মেসকর্মীদের বুঝিয়ে দিতে হয়। পুরো বিষয়টা তত্ত্বাবধান করতে হয়। প্রয়োজনে খাবার বিলিও করতে হয়। রাস্তার ধারের অসহায় শিশুদের মুখগুলো আমাকে ভীষণ তাড়া করে। তাই কিছু করার কথা ভাবি। অন্তত খাবার নষ্ট হওয়া আটকাতে, যদি ওদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। শুরু হয় নতুন উদ্যোগ।



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

এই ব্যাপারে সাহায্য করে তানিয়া, আমার সহপাঠী। প্রতিদিন খাবার রান্না হত প্রায় ২০০ মেস আবাসিকের জন্য। তার সঙ্গে আরো অতিরিক্ত খাবার থাকত মেসকর্মীদের জন্য। প্রতিদিনই কিছু খাবার নষ্টও হত। এসব দেখে কিছু করার কথা মাথায় আসে।  একদিন নুডুলস, সুপ আর মাঞ্চুরিয়ান ছিল মেনুতে। সবার ডিনার হয়ে যাওয়ার পর দেখা যায়, কিছু খাবার বেঁচে গেছে। আমি আমার বন্ধুকে বলি, বাইরে গিয়ে অসহায় বাচ্চাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া যাক। সে এককথায় রাজি। আমরা বেশ উৎকণ্ঠিত ছিলাম। কারণ তখন রাত ১১টা। এভাবে বাসনপত্র নিয়ে রাস্তায় ঘুরতে দেখলে কেউ কোনো প্রশ্ন করতে পারে, তাই চিন্তায় ছিলাম। যাই হোক কোনো বিপত্তি হয়নি। সূর্যসেন স্ট্রিটের ওপর এক ঝাঁক পথশিশুকে সেই খাবারগুলো তুলে দেই। তারা ভীষণ খুশি সেগুলি পেয়ে। তাদের সেই খুশি মুখ গুলো আমার স্মৃতিতে থেকে যাবে সারাজীবন। কোনো অভিব্যক্তি নেই, শুধুই ভরপেট খাওয়ার আনন্দ।

আসুন, হস্টেল, মেসের উদ্বৃত্ত খাবার পৌঁছে দিই গৃহহারা অসহায় শিশুদের কাছে২-৩ দিন পর আবার আমরা বেড়িয়ে পড়লাম। রাত সফরে বেড়িয়ে আবার পথশিশুদের মুখোমুখি হলাম। তাদের হাতে তুলে দিলাম খাবার। তারা সেদিনও আশা করেছিল বোধহয় নুডুলস এনেছি। যাই হোক নুডুলস না হলেও সঙ্গে ছিল ভাত আর পনির। ওদের মুখে হাসি আনতে তাই বা মন্দ কি!

var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);

আমরা মুখোমুখি হলাম এক রিক্সাচলকের। তিনি শেষ যাত্রী বাড়ি পৌঁছে নিজের গন্তব্যে এসেছেন। তাঁকে খাবার তুলে দিতে মুখে আনন্দের ঝিলিক। প্রাপ্তি অনেক আশীর্বাদ, যা আগামী দিনে আরো এমন কাজ করতে প্রাণিত করবে। এপ্রসঙ্গে আরেকটা কথা বলা দরকার। কিছু ছেলে সেদিন আমাদের ছবি তোলার চেষ্টা করে। আমার সঙ্গে বন্ধু ছিল। তাই সাহস করে বললাম, ছবি ডিলিট করে দিন। তাঁরা কাছেই কলেজে পড়ে। আমাদের অনুমতি চায়, ভিডিও করে ইউটিউবে অন্যদের উৎসাহ দিতে প্রচার করবে। আমরা কোনোমতেই রাজি হই না। আমি প্রচার চাইনি, কিন্তু এখন কিছু মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, আপনারাও যদি রোজকার উদ্বৃত্ত খাবার পথশিশুদের হাতে তুলে দেন, তাহলে অন্তত ভুখা মিছিলের সংখ্যা কমবে। খালি পেটে বিনিদ্র রাত কাটানোর সংখ্যাটা তো দেশে কম নয়। তাই এগিয়ে আসুন আমাদের সহনাগরিকরা। এই কারণে নিজের অনুভূতির কথা তুলে ধরলাম।

অনুলিখন: তিয়াষা গুপ্ত৷

এই সংক্রান্ত আরও খবর জানতে ফেসবুক পেজ লাইক করুন facebook.com/Aajbikal ও aajbikel.com-এ ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + 6 =