তিয়াষা গুপ্ত: পুরনো বইকে পুঁজি করে এগিয়ে যাচ্ছে ‘সিস্টার্স অফ দ্য পিপল বুক শপ’। অনন্য এই উদ্যোগের পথচলা শুরু ২০০২ সালে। দিল্লির বস্তি এলাকার শিশুদের কম দামে বই তুলে দেওয়ার লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছে এই বই-ভাণ্ডার। এদের সম্পদ পুরনো আসবাব, আর কারো দেওয়া বই। সেই সব পুঁজি করে এগিয়ে চলেছে এরা। পাশে দাঁড়িয়েছে, সেই সব শিশুদের, বই কেনা যাদের কাছে বিলাসিতা! কারণ দু’বেলা পেট ভরে খাবারই তো জোটে না তাদের। বইয়ের অভাবে অনেক শিশুর পড়াশুনোয় দাড়ি পড়া আটকেছে এই বই ভাণ্ডার। দিল্লির বইপ্রেমীদের কাছে এ অনাবিল আনন্দের অভিজ্ঞতা। উল্লেখযোগ্য এই দোকানের সব ধরণের কাজ মহিলারাই পরিচালনা করেন। বছরের প্রথম দিনে নারীর জাগরণের এ এক অভিনব নজির।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদি হাত ঘুরে আসা বই আপনার প্রিয় কোনো সামগ্রী হয়, তাহলে এই বই ভাণ্ডার আপনার কাছে হতেই পারে স্বর্গরাজ্য। বই প্রেমীরা পুরনো বইয়ের মধ্যে বিভিন্ন সময় খুঁজে পায় অনেক রসদ। তাই এই ভাণ্ডার হতেই পারে, তাঁদের কাছে গুপ্তধন পাওয়ার অভিজ্ঞতা।
এই বই ভাণ্ডার দিল্লির লাজপত ভবনের কাছেই। অনেকেই বই দান করে এই ভাণ্ডার সম্বৃদ্ধ করেছেন। হাত ঘুরে আসা অনেক বইও আছে। বইয়ের মধ্যে মুখ গুঁজে যাঁরা ঋদ্ধ হন, তাঁদের গন্তব্য হতেই পারে এই সিস্টার্স অফ পিপল বই শপ। যদিও এর আসল উদ্দেশ্য দরিদ্র অসহায় বাচ্চাদের কম পয়সায় বই দিয়ে সাহায্য করা।
var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);
এক কামরার ঘর, ভিয়ে ঠাসা। ঘরের চারিদিকে পুরনো বইয়ের গন্ধ। বেশিরভাগই কারো দান করা পুরনো সেলভস ও আসবাব, সেখানে উপচে পড়ছে বই। সাধারণত প্রকৃত যা বইয়ের দাম, তার থেকে অর্ধেক দামে বই পাওয়া যায়। এমনকি এখানে ১০ টাকাতেও বই পাওয়া যায়। এই দোকান মহিলা পরিচলিত। এখানে বেশিরভাগই মহিলা স্বেচ্ছাসেবক। এখানে কোনো রোজগারের আশায় আসেন না স্বচ্ছাসেবক মহিলারা। স্বেচ্ছায় তাঁরা শ্রম দান করেন। নিজেদের পরিবার ও চাকরির কাজ সেরে অবসর সময়ে দোকানে আসেন। বই সাজান, নির্দিষ্ট চরিত্র অনুযায়ী বই ডিসপ্লে করেন। তারপর তা বিক্রি করা হয়।
এখন অনলাইনে বই বিক্রির রমরমা। এগিয়ে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট আরো অনেকে। এই দৌড়ে এরা নেই। তবে ক্ষুদ্র পরিকাঠামো নিয়ে কীভাবে প্রযুক্তর সঙ্গে পাল্লা দেওয়া যায়, তার চেষ্টা এখানকার মহিলা কর্মীরা করে চলেছেন। এক মহিলা স্বেচ্ছাসেবক জানালেন, তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্য়মে কখনও কখনও বইয়ের অর্ডার নেন। কাছাকাছির মধ্যে সম্ভব হলে বাড়িও পৌঁছে দেন।
পুরনো বই, ম্যাগাজিন, কিংবা বাড়ির পুরনো খবরের কাগজ, যা আপনি বিক্রি করে জঞ্জাল সাফ করেন, এদের হাতে তুলে দিলে, তা অনেক অসহায় পড়ুয়ার কাছে পৌঁছে যেতে পারে। শিক্ষার আলো সমাজের প্রান্তিক শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। নতুন বছরে সেই আলো সমাজের নিচের স্তরে পৌঁছে দেওয়া আমাদের অঙ্গীকার হোক।