কলকাতা : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকে যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে তীব্র কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে নজরুল মঞ্চে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকে তিনি যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনকে কটাক্ষ করেন।
তিনি বলেন, একমাত্র এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ঠিকঠাক লেখপড়ার পরিবেশ নেই। ছাত্রছাত্রীরা কি করছে? কখনও উপাচার্যের হাত থেকে সংশাপত্র নেবে না, কখনও সমাবর্তন করতে দেবে না ক্যাম্পাসে। অন্য কোথাও এসব হচ্ছে না। যত সমস্যা এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর কটাক্ষের লক্ষ্য ছিল যাদবপুরে উপাচার্যের মদতে পুলিশী হামলার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা এবং হিন্দু হোস্টেল সহ একাধিক দাবিতে প্রেসিডেন্সির আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্সিতে আন্দোলনের ফলে বাধ্য হয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হয় নন্দন ২-এ। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনকে কটাক্ষের পাশাপাশি এদিন তিনি মঞ্চ থেকে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার বয়স ৬৫ পর্যন্ত এবং কলেজ অধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যে চাকরির মেয়াদ ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত করার কথা ঘোষণা করেন৷ বিগত দিনে কলেজের ক্ষেত্রে অবসরগ্রহণের সমসয়সীমা ৬২ বছর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৬০ বছরের পর পুনর্নিয়োগের পদ্ধতি চালু ছিল৷ তাতে সর্বোচ্চ ৬৫ বছর পর্যন্ত কাজ করা যেত৷ গত বছর এই সরকারই এই নিয়ম মুলতুবি করে দেয়৷
এদিন সমাবর্তন মঞ্চ থেকে নতুন কায়দায় পুরোনো নিয়মই চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পাশাপাশি, এবছরই প্রথমবার সমাবর্তনের প্রথা ভেঙে মুখ্যমন্ত্রী ডিলিট দিলেন। ডিলিট পেলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী। বিনিময় প্রসংসায়ে ভরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। ডিলিট পেয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষার অন্যতম মুখ মমতা ব্যানার্জি। প্রসঙ্গত, এতদিনের প্রথা অনুযায়ী ডিলিট দিতেন রাজ্যপাল।