শাম্মী হুদা: বইয়ের বোঝা কমিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের রেহাই দিতে চাইল এনসিইআরটি। সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করণের পিছনে একাধিক উদ্দেশ্য বিদ্যমান। প্রথমত প্রথাগত শিক্ষার বাইরে হাজারও বিষয় রয়েছে যেগুলি শিশুদের জানা অত্যন্ত জরুরি। আজ এবং আগামীর দিনগুলিতে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে গেলে শুধু বই পড়লেই চলবে না আনুষঙ্গিক নানা বিষয়ে শিক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে। তাই স্কুল স্তরেই পাঠক্রমের বোঝা কমাতে তৎপর সিবিএসি বোর্ড। ২০১৯ থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, চলতি বছরের পাঠক্রমের ১০-১৫ শতাংশ ছেঁটে ফেলা হবে।পড়ুয়াদের বইয়ের ভার কমাতে মোট ৫০শতাংশ সিলেবাস ছাঁটার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। গোটা প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য থেকে ২০২১ সালকে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তারমধ্যে সব কাজ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে সিলেবাসে ছাঁটাই হলেও ভাষা,অঙ্কের ক্ষেত্রে কিছুই বাদ পড়ছে না।তবে সমাজ বিজ্ঞান নতুন পাঠক্রমে থাকছে না। একই সঙ্গে একাদশও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য নির্দিষ্ট পাঠক্রম থেকে বিজ্ঞান বিষয়ক কিছুই বাদ দেওয়া হবে না। কেন না এই সময়েই নির্দিষ্ট হয়ে যায় পড়ুয়া কোন বিষয়কে তার ভবিষ্যতের জন্য নির্বাচন করবে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
নতুন পাঠক্রমে যে বিষয়গুলি থাকছে তা আদৌ শিক্ষার গুণগত মানের সঙ্গে যথাযথ কি না দেখার জন্য গ্রেড পদ্ধতি চালু হচ্ছে। সবকটি রাজ্যের শিক্ষার মানের মূল্যায়ণের জন্য থাকছে ৭০টি প্যারামিটার।
var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);
বলা বাহুল্য, এই নতুন পাঠক্রমের সঙ্গে তাল মেলাতে চলে এসেছে নতুন বইও। গত দুবছরে যা নতুন বই প্রকাশ হয়েছিল এ বছর সেই স্কেল ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২ বছর আগে দুই কোটি,গতবছরে ছয় কোটি আর এবার আট কোটি বই প্রকাশিত হতে চলেছে। তাই নয়া পাঠক্রমে ক্লাস শুরু হতে কোনও অসুবিধা হবে না। মূলত, পড়ুয়ার বয়সের তুলনায় ব্যাগের ওজন বেশি, এনিয়ে কটা সার্বিক ক্ষোভ ছিলই। এত সিলেবাস আর পরীক্ষার চাপ যে খেলাধূলা, কোনও উদ্ভাবন ক্ষমতা নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা, কিছু তৈরি করা এসবের সময়ই থাকে না আজ কালকার ছাত্রছাত্রীদের কাছে। এনসিইআরটি-র এই পাঠক্রম সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকা পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।