কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন সুজিত বসু, তাপস রায়, ডাঃ নির্মল মাজি এবং রত্না কর ঘোষ। আজ, দুপুরে রাজভবনে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি।
ভোটের ডিউটি বয়কটের ডাক দিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা শিক্ষকদের
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুজিত বসুর হাতে দমকল বিভাগের দায়িত্ব তুলে দেন৷ ডাঃ নির্মল মাজিকে শ্রমদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আবাসনমন্ত্রী করা হয় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে৷ পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে তাপস রায়কে দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ক্ষুদ্র ও মাঝারি দপ্তরের দায়িত্ব পান রত্না কর৷ দমকলমন্ত্রীর পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হল সুজিত বসুকে৷
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বুধবার, বিধানগরের বিধায়ক সুজিত বসু, বিধানসভার উপ মুখ্যসচেতক তথা বরানগর বিধানসভার বিধায়ক তাপস রায়, তৃণমূল পরিচালিত প্রগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিধায়ক নির্মল মাঝি ও চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষের নামেই চূড়ান্ত অনুমোদন দেন মুখ্যমন্ত্রী৷
সরকারি বিধি অনুযায়ী, রাজ্য মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ ৪৪ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন৷ যদিও বাস্তবে ছিলেন ৪০ জন মন্ত্রী৷ পঞ্চায়েত ভোটের পরপরই মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয় আদিবাসী উন্নয়নমন্ত্রী চূড়ামণি মাহাত ও জেমস কুজুরকে৷ অসুস্থতার জন্য মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়ে অবনী জোয়ারদারকে৷ সদ্য মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ তার জেরে রাজ্য মন্ত্রিসভায় মোট চারটি পদ শূন্য তৈরি হয়৷ আজ, নতুন রাজ মন্ত্রীকে শপথগ্রহণ করিয়ে রাজ্যমন্ত্রিসভার শূন্যপদ পূরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
দ্বিতীয় মা-মাটি-মানুষের সরকার মন্ত্রিসভায় উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে আদিবাসী, সংখ্যালঘু এবং সাধারণ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের এক সুসংহত সমন্বয় ঘটিয়েছেন মমতা। চারজন মন্ত্রীর পদ খালি হওয়ার পর এবারের রদবদলেও সেই সমন্বয় বজায় রাখেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে৷