দু’জন শিক্ষক থাকলেও নেই কোনও পড়ুয়া, ব্যাপারটা কী?

ঘাটাল: শিক্ষা যখন একটা জাতির উত্তরণের উল্লেখযোগ্য মাপকাঠি তখন তো পড়তেই হবে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন শিক্ষার উন্নতিতে সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী চালু করেছেন, যখন জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে তখন তো পড়াশোনার প্রতিবন্ধকতা অনেকটাই দূর হয়েছে। একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকও প্রায় শেষের দিকে,ঠিক এই সময় রাজ্যে এমনও স্কুল আছে যেখানে চলতি শিক্ষাবর্ষে একজন পড়ুয়াও ভর্তি হয়নি। স্কুল

দু’জন শিক্ষক থাকলেও নেই কোনও পড়ুয়া, ব্যাপারটা কী?

ঘাটাল: শিক্ষা যখন একটা জাতির উত্তরণের উল্লেখযোগ্য মাপকাঠি তখন তো পড়তেই হবে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন শিক্ষার উন্নতিতে সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী চালু করেছেন, যখন জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে তখন তো পড়াশোনার প্রতিবন্ধকতা অনেকটাই দূর হয়েছে। একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকও প্রায় শেষের দিকে,ঠিক এই সময় রাজ্যে এমনও স্কুল আছে যেখানে চলতি শিক্ষাবর্ষে একজন পড়ুয়াও ভর্তি হয়নি। স্কুল আছে, রয়েছে পানীয় জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা, আছেন দুজন শিক্ষকও। কিন্তু পড়ুয়াই নেই। ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতাজি প্রাথমিক স্কুল।

প্রতিদিন শিক্ষকরা দুজনে স্কুলে আসেন, সারা দিন গল্প করে বাড়ি ফিরে যান, স্কুলে ছাত্রও নেই পড়ানোর কোনও ব্যাপারও নেই। কাকেই বা পড়াবেন, গত বছর চতুর্থ শ্রেণিতে চারজন মাত্র পড়ুয়া ছিল, এবছর তারা পাশ করে অন্যস্কুলে চলে গিয়েছে। গোটা স্কুল পুরো ফাঁকা মাত্র একজন পড়ুয়া আছে, তাকে আর কিইবা পড়ানো যায়। এতো শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলোরও প্রয়োজন রয়েছে, সে কার সঙ্গে খেলবে। একটা বাচ্চাকে সহপাঠী ছাড়া স্কুলে আটকে রাখা খুব অসম্ভব ব্যাপার এমনটাই জানালেন শিক্ষকরা। বলা বাহুল্য, স্কুল লাগোয়া গ্রামে মাত্র ১৮টি পরিবারের বসবাস, সেখানে শিশুর সংখ্যা চার।তবে তাদের বয়স দুই থেকে চার বছরের মধ্যে। তারা তো আর স্কুলে আসতে পারে না, তাই বছর চারেক না গেলে স্কুলে পড়ুয়া আসার সম্ভাবনা নেই বললে চলে।



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

কেন হল এমন অবস্থা? জানা গিয়েছে, গ্রামের বেশির ভাগ বাসিন্দাই অপেক্ষাকৃত উন্নত এলাকায়জমি কিনে চলে গিয়েছেন। এখান পাট চুকিয়ে সেখানেই বসবাস করছেন। এইভাবে একটু একটু করে গোটা গ্রাম ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। তাই পড়ুয়া সংখ্যা কমতে কমতে একজনে এসে ঠেকেছে। এবার তো কেউ ভর্তিই হয়নি। শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের অদূরেই তৈরি হয়েছে নতুন স্কুল পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির বাচ্চারা সেখানে পড়ে, এই স্কুলে কেউ আসে না। অথচ ১৯৬৩ সালে যখন স্কুলটি তৈরি হয়েছিল তখন প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার ভিড়ে স্কুল সারাদিন গমগম করতো, এখন চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। জেলার শিক্ষা দপ্তর সবকিছুই জানে। বিষয়টি রাজ্য শিক্ষা দপ্তরকে জানানোর আশ্বাসও দিয়েছেন এসআই। এখন দেখার, কবে আবার শিশুদের কলকাকলিতে ভরে ওঠে নেতাজি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র।

এই সংক্রান্ত আরও খবর জানতে ফেসবুক পেজ লাইক করুন facebook.com/Aajbikal ও aajbikel.com-এ ক্লিক করুন

var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × one =