২০১৯-এ চাকরির বাজারে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে এই সেক্টরে

নয়াদিল্লি: বেকারত্ব এই মুহূর্তে সারা দেশে একটা ভয়ানক আকার নিয়েছে। যার জেরে বিরোধীরা মোদীকে চেপে ধরছে। মোদী লোকসভা ভোটের আগে কোটা চালু করলেন। চমক দিলেন। এই অবস্থায় এক রিপোর্ট কিন্তু যা বলছে, তাতে মোদীর মুখের হাসি চওড়া হতেই পারে। হসপিটালিটি অর্থাৎ আতিথ্য ক্ষেত্রে কাজের বিভিন্ন সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে এই সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল হবে

২০১৯-এ চাকরির বাজারে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে এই সেক্টরে

নয়াদিল্লি: বেকারত্ব এই মুহূর্তে সারা দেশে একটা ভয়ানক আকার নিয়েছে। যার জেরে বিরোধীরা মোদীকে চেপে ধরছে। মোদী লোকসভা ভোটের আগে কোটা চালু করলেন। চমক দিলেন। এই অবস্থায় এক রিপোর্ট কিন্তু যা বলছে, তাতে মোদীর মুখের হাসি চওড়া হতেই পারে। হসপিটালিটি অর্থাৎ আতিথ্য ক্ষেত্রে কাজের বিভিন্ন সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে এই সম্ভাবনা আরো উজ্জ্বল হবে বলেই রিপোর্টে প্রকাশ।

২০১৮ সালে হসপিটালিটি সেক্টর অর্থাৎ আতিথ্য শাখায় অনেক কাজের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ বিদেশি পর্যটকদের আসার প্রবণতা বেড়েছে। ফলে পরিবহণ ও পর্যটন শিল্পেও বিকাশ ঘটেছে। ফলে এই সেক্টরে আরো বেশি করে ম্যান পাওয়ারের প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে চাহিদা পূরণ করতে পেশাদারদের কদর বাড়বে। একটা সময়ে ট্রাভেল ও হসপিটালিটি সেক্টরে তেমন কাজের সুযোগ ছিল না। বহুদিন ধরে ঝিমিয়ে পড়েছিল এই শিল্প। ২০১৮-য় চাঙ্গা হয় এই শিল্পের বাজার। সেই সঙ্গে প্রয়োজন হয় দক্ষ পেশাদারের। ২০১৯-এ আশা করা হচ্ছে, সম্ভাবনা সবচেয়ে উজ্জ্বল।

২০১৯-এর দিকে তাকিয়ে এইচ আর সম্ভাবনা ও টিপস :
(বাতলালেন নিহার মেহতা, কর্পোরেট হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার, সরোবর হোটেল প্রাইভেট লিমিটেড)

১. আকর্ষণীয় মাইনে
হসপিটালিটি সেক্টরে কর্মী রাদারুণ মাইনে পাচ্ছেন প্যান ইন্ডিয়া জুড়ে। ফলে দক্ষ পেশাদারের চাহিদা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে এই পেশায় আসার প্রবণতা। আগামী দিনে এই আকর্ষণীয় প্যাকেজের ওপর দাঁড়িয়ে তৈরি হবে এক মজবুত ক্ষেত্র।

২. দক্ষতায় শান
চাহিদা বাড়ছে, লোভনীয় প্যাকেজ আছে। ফলে কীভাবে নিজকে পেশার উপযোগী করে তুলতে হবে, তার জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই কোর্স পড়ানো হয়। তরুণ তুর্কি, কাজের অদম্য ইচ্ছে এই গুণাবলীর ওপর দাঁড়িয়ে আছে পেশার সাফল্য।

৩. পেশাদার প্রয়োজন
অন্যান্য পেশার মতো দক্ষতাই শেষ কথা। বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের হোটেল তৈরি হচ্ছে সারা দেশে। ফলে দক্ষ পেশাদারদের হায়ার করার প্রবণতা বাড়ছে। সুযোগ আছে, শুধু দক্ষতায় শান দেওয়া প্রয়োজন।

৪. বিশেষভাবে সক্ষমদের কাজের সুযোগ
না, এটা কোনো চ্যারিটি বা অনুকম্পা নয়। কর্পোরেটে আগামী দিনে সচেতনতা তৈরি করাই লক্ষ্য। পাশাপাশি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরাও এই পেশায় উপযুক্ত হতে পারেন, তার জন্য কীভাবে আতীথেয়তার কাজে লাগানো যায় তাঁদের সেই চেষ্টা চলছে। এব্যাপারে এইচআরদেরও সচেতন করে দেওয়া হচ্ছে।

৫. নীতি ও সাম্য
লিঙ্গ বৈষম্য কথাটা বোধহয় এই পেশার ক্ষেত্রে খাটে না। কারণ এখানে মহিলাদের জন্য অনেক সুযোগ। তবে কাজের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া জরুরি। অর্থাৎ ওয়ার্কপ্লেস এথিক্স-এর বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকা জরুরি। সেইসঙ্গে মহিলা কর্মীরা যাতে নিরাপদে কাজ করতে পারেন, তা দেখাও চাকরিদাতার কর্তব্য। কারণ মেয়েরা বেশি করে পেশায় আসছেন।

আতিথেয়তা বহুদিন ধরে ভারতীয়দের মজ্জায় মজ্জায়। এ আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি। ফলে এটাই যখন পেশাদরিত্বের জায়গায় যাবে, তখন আগামীর তাতে নিরুৎসাহের কোনো কারণ থাকতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 4 =