কলকাতা: ইঙ্গিত ছিলই৷ এবার তা স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যের স্কুলগুলির শিক্ষক বিন্যাস সমস্যার কথা মেনে নিয়েই নয়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সোমবার নবান্নের সভাঘরে শিক্ষা দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের আওতায় নিয়ে আসার ভাবনা শুরু রয়েছে রাজ্য৷ তাঁর যুক্তি, রাজ্যের স্কুলগুলির প্রাথমিক বিভাগে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি থাকায়, একটি গোটা শ্রেণি তাঁদের আওতায় চলে এলে মাধ্যমিক বিভাগের চাপ কমবে৷ সে ক্ষেত্রে অনেকটাই ভারসাম্য আসবে শিক্ষকের সংখ্যায়৷
সোমবার নবান্নের বৈঠক শেষে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকদের সংখ্যা নিয়ে সমস্যার মূল কারণ হিসাবে ভারসাম্যের অভাবকেই দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, “কোথাও হয়তো অনেক শিক্ষক আছেন, কোথাও আবার শিক্ষক প্রায় নেই। এই দু’জায়গার মধ্যে ভারসাম্য আনতে পারলেই অনেকটা সমাধান হবে সমস্যার৷”
শিক্ষকদের অভিযোগ, চতুর্থ-শ্রেণি পর্যন্ত বিষয় থাকে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক ও পরিবেশ৷ কিন্তু, পঞ্চম থেকে এই পরিবেশ বিষয়টিই ভাগ হয়ে যায় ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞানে৷ ফলে, বাড়বে আরও তিনটি বিষয়৷ সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রশিক্ষক নেওয়া জরুরি৷ সিলেবাস জানাটাও প্রয়োজন৷ফলে, নয়া নিয়ম কার্যকর হলে বাড়বে সমস্যা৷ বাড়বে পড়ানোর চাপ৷ শুধু পড়ানোই নয়, পরিকাঠামো সমস্যাও রয়েছে৷ শিক্ষকদের দাবি, বহু প্রাথমিক স্কুলে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, বেঞ্চ, বোর্ড কিছুই নেই৷ সেখানে নতুন করে পঞ্চম শ্রেণির ব্যবস্থা কীভাবে করানো যাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷