শ্যামলেশ ঘোষ: শ্রেণিকক্ষের মধ্যে অবশ্যই টাঙাতে হবে পাঠ্যসূচি। রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুলগুলিতে এই মর্মে নির্দেশ পাঠিয়েছে শিক্ষা দফতর। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। দফতরের জনৈক কর্তা জানিয়েছেন, সরকারি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে অবশ্যই একটি বিজ্ঞপ্তি ঝােলাতে হবে, যাতে পাঠক্রম, অধ্যায় সহ একটি নির্দিষ্ট সেমেস্টারে শিক্ষক বা শিক্ষিকা পড়ুয়াদের কী পাঠ দেবেন, সেই পাঠ্যবিষয়ের সবিস্তার বর্ণনা থাকবে। নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে বিদ্যালয়গুলিকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই নয়া নিয়মের উদ্দেশ্য একটাই, পরবর্তী সংক্ষিপ্ত অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের আগে শিক্ষার্থীদের মনে পাঠ্যবস্তু সম্বন্ধে একটি স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া। এতে করে তারা কী শিখবে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা তৈরি হবে। এটি একটি ক্লাসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়ােজনীয় পাঠদানের বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সচেতন করবে। সরকারি স্কুলগুলিতে ফি-বছর তিনটি সমষ্টিগত মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমটি মার্চ-এপ্রিলে, দ্বিতীয়টি জুলাই-আগস্টে এবং তৃতীয়টি নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে। অন্যদিকে, ওই একই বিজ্ঞপ্তি স্কুল পরিসরের মধ্যে অন্যত্র টাঙাতে হবে, যাতে অভিভাবক-অভিভাবিকারাও বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেন। আবার ওই বিজ্ঞপ্তিটি সময়ে সময়ে আপডেট করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজেদের পঠনপাঠনের অগ্রগতি সম্পর্কে কোনও বিভ্রান্তি তৈরি না হয়।
শিক্ষার্থীদের তরফে এমন অভিযোগ আকছার শােনা যায় যে, শিক্ষক বা শিক্ষিকা সিলেবাস ঠিকঠাক শেষ করেননি। এর জবাবে যথারীতি শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাল্টা দাবি করে থাকেন, অভিযােগকারী পড়ুয়া শ্রেণিকক্ষে অমনােযােগী থাকে অথবা অন্য কোনও পাঠ-বহির্ভূত বিষয়ের প্রতি তার মনােযোেগ বেশি থাকে। শিক্ষা দফতরের ওই কর্তা জানিয়েছেন, গােটা বিষয়টি মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক সুবিধার জন্য ক্লাসরুমে বাধ্যতামূলক ভাবে সিলেবাস টাঙানাের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়গুলিতে নিয়মিত অভিভাবক-শিক্ষক বৈঠকের ওপরেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে পড়ুয়ার শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে অভিভাবক-অভিভাবিকাদেরও সম্যক জ্ঞান থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।