নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের নয়া আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত দশ শতাংশের আওতায় পড়া ব্যক্তিবর্গের জন্য আগামী শিক্ষাবর্ষেই রয়েছে হাজারো সুযোগ। জয়পুরে এক অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে একথাই জানালেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভারেকর। তিনি বলেন, চলতি বছরের জুনে আগামী শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে। ওই শিক্ষাবর্ষেই কেন্দ্রের নবনির্ধারিত সংরক্ষণ বিধি বাস্তবায়িত হবে। নতুন আইনে বলা হয়েছে উচ্চবর্ণের যেসব পড়ুয়ারা আর্থিকভাবে অনেক পিছিয়ে আছেন, তাঁদের জন্যই উচ্চশিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ চালু হয়েছে।
গত নয় জানুয়ারি সংবিধানের প্রস্তাবনা মেনে উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিলটি পাশ করেন রাষ্ট্রপতি। এরপরেই তানিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে। বিজেপিকে লক্ষ্য করে বিরোধীদের খোঁচা অব্যাহত রয়েছে। জানা গিয়েছে, উচ্চবর্ণের যেসব পড়ুয়াদের বার্ষিক উপার্জন আটলক্ষ বা তার বেশি, সেইসব পরিবারই এই সংরক্ষণের আওতায় পড়বে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।
এদিন জাভারেকর বিরোধীদের একহাত নিয়েই বলেন, জনসমর্থন ধরে রাখতে আগের ইউপিএ সরকার এই উচ্চবর্ণের সংরক্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন বহুবার। তবে ভোট চলে গেলে আবার ভুলেও গিয়েছেন। মোদি সরকার কিন্তু ভোলেনি, উচ্চবর্ণের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতকে সুনিশ্চিত করতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছে। এর ফলে আইআইআইটি, আইআইটি, এনআইটি-র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে উচ্চবর্ণের পড়ুয়াদের জন্য হাজারটি আসন সংরক্ষিত থাকবে। এবছরই সই নীতি বলবৎ করা হচ্ছে। যার পুরো কৃতিত্বই এনডিএ সরকারের। এই সরকার রীতিমতো বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। পূর্বতন ইউপিএ সরকার তো কাজের কাজকিছু করেনি। উল্টে নানারকম আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে।