মাঝ আকাশে দম আটকে বিপন্ন প্রাণ, মরণাপন্ন যাত্রীকে বাঁচালেন এই ডাক্তার

শাম্মী হুদা: ডাক্তারদের কখনও ছুটি হয় না, যেখানেই যান সেখানেই বোধহয় জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু হয়ে যায়। তাই হাসপাতাল থেকে ছুটি নিলেও তা কোনওভাবে সেবার কাজেই লেগে যায়। ঠিক সেই দায়িত্বই পালন করলেন চণ্ডীগড়ের পঞ্চকুলার জেনারেল ফিজিশিয়ান পায়েল পুরি শর্মা। মাঝ আকাশে মরণাপন্ন সহযাত্রীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে প্রাণে বাঁচালেন তিনি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে

মাঝ আকাশে দম আটকে বিপন্ন প্রাণ, মরণাপন্ন যাত্রীকে বাঁচালেন এই ডাক্তার

শাম্মী হুদা: ডাক্তারদের কখনও ছুটি হয় না, যেখানেই যান সেখানেই বোধহয় জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু হয়ে যায়। তাই হাসপাতাল থেকে ছুটি নিলেও তা কোনওভাবে সেবার কাজেই লেগে যায়। ঠিক সেই দায়িত্বই পালন করলেন চণ্ডীগড়ের পঞ্চকুলার জেনারেল ফিজিশিয়ান পায়েল পুরি শর্মা। মাঝ আকাশে মরণাপন্ন সহযাত্রীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে প্রাণে বাঁচালেন তিনি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে টরন্টো থেকে দিল্লিগামী এয়ার কানাডার বিমানে।

ওই বিমানে ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরছিলেন পায়েল।তাঁরই এক সহযাত্রীও কানাডা থেকে সস্ত্রীক দেশে ফিরছিলেন। বছর বিয়াল্লিশের ওই ভদ্রলোকের বেশকিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে, সেকারণে ওষুধ ছাড়া তাঁকে রাখাই যায় না। এদিকে এমনই প্রয়োজনীয় একটি ওষুধ ফুরিয়ে যাওয়ায় দিন কয়েক ধরে সমস্যায় পড়েছিলেন ওই দম্পতি।টরোন্টোর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও দেশের ডাক্তারের প্রেসক্রাইব্ড ওষুধটি তাঁরা সংগ্রহ করতে পারেননি। তাই তড়িঘড়ি দেশে ফিরছিলেন। এদিকে ফ্লাইট যখন মাঝ আকাশে তখনই ভদ্রলোকে ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায়,শারীরিক কষ্টের প্রাবল্যে দমও নিতে পারছিলেন না তিনি।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁর স্ত্রী সাহায্যের আশায় কান্নাকাটি শুরু করেন।জানলার পাশে বসেছিলেন ডাক্তার পায়েল,তিনি প্রথমে বিষয়টি খেয়াল করেননি।এদিকে ততক্ষণে ওই ভদ্রমহিলা ফ্লাইটের ক্রু মেম্বারদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। পাইলটের কেবিন থেকে জরুরি ভিত্তিতে ঘোষণাও শুরু হয়েছে বিমানে এক যাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সহযাত্রীদের মধ্যে যদি কেউ চিকিৎসকথেকে থেকে থাকেন অনুগ্রহ করে এগিয়ে আসুন।পায়েল দেখলেন কেউ হাত তুলল না,তিনি আর দেরি করেননি। ভদ্রলোকের আসনের কাছে ছুটে যান, ক্রু মেম্বারদের বলেন অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করতে।পাশপাশি তাঁকে বিজনেস ক্লাসের আসনে স্থানান্তর করার পরামর্শও দেন। ডঃ পায়েলের কথামতোই কাজ এগোচ্ছিল।অক্সিজেনের পাশাপাশি কয়েকটি প্রয়োজনীয় ম্যাসেজ শুরু করেন তিনি। বেশকিছুক্ষণ পরে দেখা যায় স্বাভাবিকহয়ে এসেছেন রোগী,তাঁর রক্তচাপও নেমেছে।

বলাবাহুল্য, রোগীর কেস হিস্ট্রি না জানা সত্ত্বেও দারুণ পরিষেবা দিয়েছন ডাক্তার পায়েল পুরি শর্মা।তিনি রোগীর স্ত্রীর কাছে প্রেসক্রিপশন দেখতে চেয়েছিলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় প্রেসক্রিপশন ওই দম্পতির হাতব্যাগে ছিল না। তাই একটু সময়লাগলেও ওই যাত্রীকে স্বাভাবিক করে তোলেন তিনি। এই ঘটনার পরেই এয়ারা কানাডার মুখ্য স্বাস্থ্যকারিক মিস্টার চ্যাংয়ের কাছ থেকে একটি চিঠি পান।সেখানে ডাক্তারবাবুকে অশেষধন্যবাদ জানানো হয়েছে বিমান সংস্থার তরফে।তিনি সংস্থার এক যাত্রীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনায় পুরষ্কৃতও হয়েছেন। এরপর এয়ার কানাডার কোনও বিমানে চড়লেই তিরিশ শতাংশ ছাড় পাবেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 15 =