অবসরের ২৪ বছর পরও বিনামূল্যে স্কুলে পড়াচ্ছেন অশীতিপর এই শিক্ষক

শাম্মী হুদা: শেখার যেমন কোনও বয়স হয় না, তেমনই শিক্ষকেরও কোনও নির্দিষ্ট বয়স থাকতে পারে না। যদিও সরকারি বেসরকারি ক্ষেত্রে একটা নিয়ম বলবৎ রয়েছে, শিক্ষকের বয়স ৬০ ছাড়ালে তিনি অবসর যাপনে চলে যাবেন। প্রায় প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষিক এই নিয়ম মেনে নিলেও কিছু ব্যতিক্রম তো থেকে যাবেই, এটাই সমাজের রীতি। আজ তেমনই একজনের কথা বলব যিনি

অবসরের ২৪ বছর পরও বিনামূল্যে স্কুলে পড়াচ্ছেন অশীতিপর এই শিক্ষক

শাম্মী হুদা: শেখার যেমন কোনও বয়স হয় না, তেমনই শিক্ষকেরও কোনও নির্দিষ্ট বয়স থাকতে পারে না। যদিও সরকারি বেসরকারি ক্ষেত্রে একটা নিয়ম বলবৎ রয়েছে, শিক্ষকের বয়স ৬০ ছাড়ালে তিনি অবসর যাপনে চলে যাবেন। প্রায় প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষিক এই নিয়ম মেনে নিলেও কিছু ব্যতিক্রম তো থেকে যাবেই, এটাই সমাজের রীতি। আজ তেমনই একজনের কথা বলব যিনি ৮৪ বছর বয়সেও প্রতিদিন আট কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে সরকারি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে গিয়ে ছাত্রদের লেখাপড়া শেখাচ্ছেন।

না কোনও অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে নয়, শুধুমাত্র স্কুলের ছেলেমেয়েদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে তাঁর এই মহান উদ্যোগ। এই মহান ব্যক্তিত্বের নাম শ্রী কৃষ্ণন। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মোহনপুর এলাকায় সেখান থেকে আট কিলোমিটার দূরে কান্ত ব্লকের শাহজাহানপুরে তাঁর স্কুল। ১৯৫৮ সালে এই স্কুলেই শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন কৃষ্ণন, নিয়ম মেনে ১৯৯৫-তে অবসরও নেন। তবে একদিনও বসে থাকেননি, অবসরের পরের দিন থেকেই ফের আগের নিয়মে স্কুলে এসে ছাত্রদের শেখাচ্ছেন।

এভাবেই কেটে গিয়েছে ২৪টি বছর। দেখতে দেখতে সেদিনের যুবক কৃষ্ণন আজ ৮৪ বছরের বৃদ্ধ। তবে তাতে কি, কোনওরকম ক্লান্তি নেই কৃষ্ণনের মধ্যে। তিনি এই ২৪ বছরে সরকারি ছুটি ছাড়া কোনও দিনই স্কুলে আসা বন্ধ করেননি। বলাবাহুল্য, ছাত্ররাও প্রিয় মাস্টার মশাইয়ের ক্লাস মিস করতে চায় না। তাঁর মতে এই যে নিরন্তর ভালবাসা পড়ুয়াদের থেকে একজন শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন, তার টানেই আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষিত করে যেতে চান।

উত্তরপ্রদেশে প্রায় তিনলক্ষেরও বেশি শিক্ষকপদ খালি রয়েছে। নিয়োগ হয়নি, আবেদনপত্রের সংখ্যাও নগন্য। সরকারি শিক্ষার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। এমতাবস্থায় অশীতিপর শ্রী কৃষ্ণন আশার প্রদীপটি জ্বালিয়ে রেখেছেন। এঁদের মতো মানুষরা আছেন বলেই ভারতবর্ষ তথা সমগ্র পৃথিবীটা আজও সুন্দর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *