আজ বিকেল: নির্বাচনের আগে ঠিকে শিক্ষক নিয়োগের বরাত দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্র নজির বিহীন নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চলেছে বর্তমান সরকার। মুখ্য়মন্ত্রী নির্দেশ মাফিক শিক্ষানবীশ শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে মুখ খুলে এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বাম জমানার প্রাক্তন উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী সুদর্শন রায় চৌধুরি।
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আসলে সিভিক শিক্ষক নিয়োগের বরাত দিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গে থার্ড গ্রেডের শিক্ষা ব্যবস্থা বলবৎ হতে চলেছে। যা রাজ্যের আগামীর ভবিষ্যৎকে অন্ধকারের পথে নিয়েযাবে। বর্তমান সরকার তো শিক্ষাক্ষেত্রে নানা রকম নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে। এই নয়া সিদ্ধান্ত সেসব নজিরকে ম্লান করে দেবে। যা রাজ্যের পড়ুয়া ও শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ভয়াবহ হতে চলেছে।
শিক্ষক নিয়োগের চিরাচরিত বিধিবদ্ধ প্রথা বানচাল করার প্রক্রিয়া এটি। প্রথমত এই ইনটার্ন শিক্ষকরা কী করে শিক্ষক হন তানিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। এছাড়া এখন স্কুলে শিক্ষকদের কত স্তর,পার্টটাইম শিক্ষক, প্যারা টিচার, এঁদের সংখ্যা কম নয়। তায় ফুল ফ্লেজেড শিক্ষকদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। ছাত্র অনুপাতে প্রায় তলানিতে, এই ছবি রীতিমতো আশঙ্কাজনক। তবে শোনা যাচ্ছে ফুলফ্লেজেড শিক্ষক যাঁরা যেখানে সংখ্যায় বেশি আছেন, তাঁদের সেখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হবে। এতদিন কেন তা করা হয়নি, এ প্রশ্ন কেউ তুলছেন না। এই ইন্টার্ন নিয়োগ আসলে নির্বাচনের আগে কোনওরকম নিয়োগ পদ্ধতি ছাড়াই একটা কর্মযজ্ঞ, অনেকটা সিভিক ভলানটিয়ারের নিয়োগের মতো সিভিক টিচার। যাকে বাংলায় ঠিকে শিক্ষক বলা হচ্ছে। কেননা আড়াই হাজার টাকায় শিক্ষক পাওয়া যায় কি না জানি না, তাঁদের যোগ্যতা আদৌ আছে কি না তাও স্পষ্ট নয়। অর্থাৎ নিয়োগ বিধি না মেনে যাকে খুশি তাকে ঢোকাও যেমন খুশি মাইনে দাও। এইভাবে নির্ধারিত মানের যোগ্যতা বর্জিত শিক্ষক নিয়োগ রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে জন্য ভয়াবহ হতে চলেছে। এতে শিক্ষার মান পড়ে যাবে, এই ব্যবস্থার প্রতিবাদে শুধু শিক্ষকদেরই নয়, অভিভাবকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নাহলে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে পর্যবসিত হতে চলেছে৷
ঠিক কী বলেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী? শুনুন এই লিঙ্কে৷