মিড-ডে মিল শিক্ষকের দায়িত্ব নয়, রাজ্যের সিদ্ধান্তে বাড়ছে ক্ষোভ

আজ বিকেল: মিড-ডে মিলে দুর্নীতি ঠেকাতে বিভিন্ন কমিটি গঠন করছে রাজ্য সরকার। সেই কমিটির বিভিন্ন পদে শিক্ষকদের রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিশিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক তন্ময় ঘোষ। তাঁর দাবি শিক্ষাদান ও শিক্ষ সংক্রান্ত কর্মবিধি ছাড়া শিক্ষকদের দিয়ে অন্য কোনও কাজ করাতে পারবে না

মিড-ডে মিল শিক্ষকের দায়িত্ব নয়, রাজ্যের সিদ্ধান্তে বাড়ছে ক্ষোভ

আজ বিকেল: মিড-ডে মিলে দুর্নীতি ঠেকাতে বিভিন্ন কমিটি গঠন করছে রাজ্য সরকার। সেই কমিটির বিভিন্ন পদে শিক্ষকদের রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিশিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক তন্ময় ঘোষ। তাঁর দাবি শিক্ষাদান ও শিক্ষ সংক্রান্ত কর্মবিধি ছাড়া শিক্ষকদের দিয়ে অন্য কোনও কাজ করাতে পারবে না সরকার।

এহেন সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তন্ময়বাবু বলেন, এমনিতেই সুপরিকল্পিত ভাবে শিক্ষাদান করতে গিয়ে এরাজ্যের শিক্ষকদের নানারকম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। স্কুলে ছাত্র অনুপাতে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, পানীয়জলের ব্যবস্থা নেই, শৌচালয় নেই, শিক্ষক নিয়োগের কোনও ব্যবস্থা নেই, নেই দুর্নীতিহীন বদলির সুযোগ।তারমধ্যে যখন তখন শিক্ষকদের জন্য নানাবিধ নির্দেশিকা জারি করছে রাজ্য, যেগুলির সঙ্গে শিক্ষকদের কোনও সংযোগই নেই। আইন অনুযায়ী পড়ুয়াদের শিক্ষাদান করাই শিক্ষকদের মূল কাজ, সেই সঙ্গে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ভোট গ্রহণ করা, এছাড়া অন্য কোনও কাজ শিক্ষকদের দিয়ে করানো যাবে না, তবুও শিক্ষকদের দিয়ে নানাবিধ কাজ করিয়ে নিচ্ছে রাজ্য। একেই স্কুলে স্থায়ী শিক্ষকদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে, তায় শিক্ষকদের যদি মিড-ডে মিলের দুর্নীতি ঠেকাতে ব্যবহার করা হয় তাহলে শিক্ষাদানের মত মূল দায়িত্বই ব্যাহত হবে।

বলাবাহুল্য, শিক্ষকরা মিড-ডে মিলের দায়িত্ব ঘাড়ে নেবেন না, গত মার্চেই বম্বে হাইকোর্টের রায়ে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। পড়ানোটাই তাঁদের মূল কাজ।মিড-ডে মিলের কোনও রকম দায়িত্ব তাঁদের উপরে বর্তায় না।খুব বেশি হলে শহরাঞ্চলের স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকরা একবার মাসে মিড-ডে মিলের রান্নাঘর সরেজমিনে দেখে আসতে পারেন। আদৌ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার তৈরি করা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এটুকুই, এর বেশি আর কিছুই শিক্ষকদের দিয়ে করানো যাবে না। এদিকে রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে যাচ্ছে, এমনিতে ইনটার্ন নিয়োগ নিয়ে শিক্ষক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, তাই নয়া নির্দেশিকা সেই ক্ষোভের আগুনে বারুদ সঞ্চার করল বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + seven =