কলকাতা: রাজ্যে বাড়ছে আর্সেনিকের প্রকোপ৷ চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করল যাদপুরের গবেষকরা৷ সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে গবেষকদের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ৯টি জেলার ১১৭টি ব্লকে আর্সেনিকে আক্রান্ত কমপক্ষে ৫২ লক্ষ মানুষ৷ কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, হুগলি, নদিয়া ও উত্তরবঙ্গের মালদহে আর্সেনিকে আক্রমণ সব থেকে বেশি বলে সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে৷
আর্সেনিকের মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ভূ-গর্ভস্থ ও ভূ-পৃষ্ঠের জল পরিশোধন করে সরবরাহ করার কাজ চালাচ্ছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর৷ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়া জেলার ১৭টি ব্লকে মোট ৫৬১ কোটি এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ২১টি ব্লকে ৭৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রকল্পের কাজ চলছে৷
উত্তর ২৪ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও নদিয়ার বেশ কিছু ব্লকের ভূ-গর্ভস্থ জলে বিপজ্জনক মাত্রায় আর্সেনিক মিললেও এতদিন কলকাতা ছিল আর্সেনিক দূষণ থেকে মুক্ত৷ সম্প্রতি কলকাতার কিছু এলাকায় জলে অনুমোদিত মাত্রার থেকে বেশি আর্সেনিক মিলেছে৷ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে ভূ-গর্ভস্থ জলের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতার জন্য এখন কলকাতাতেও সেই দূষণ ছড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
কেন্দ্রের এই কমিটির আরও সুপারিশ, দেশে পানীয় জলে আর্সেনিকের সহনমাত্রা ০.৫ মিলিগ্রাম প্রতি লিটার থেকে কমিয়ে ০.০১ মিলিগ্রাম করা হোক। সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে প্রতি লিটার জলে ০.০৫ মিলিগ্রাম আর্সেনিক থাকলে সেই জল পানের যোগ্য বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরে এই মাত্রা হল প্রতি লিটার জলে ০.০১ মিলিগ্রাম।
পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের অন্তত ১০টি রাজ্যের ভূগর্ভস্থ জলে বিপজ্জনক মাত্রায় আর্সেনিক রয়েছে। দূষণের ব্যাপকতার নিরিখে প্রথম স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। দীর্ঘদিন ধরে বিপজ্জনক মাত্রার আর্সেনিকযুক্ত জল খেলে ত্বক, লিভার, কিডনি, ফুসফুসের ক্যানসারে মানুষের মৃত্যু হয়।