D.EL.Ed পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের

কলকাতা: D.EL.Ed পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ ডিইএলইডি-র পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলার আবেদ জানানো হলেও তা গুরুত্ব দেয়নি হাইকোর্ট৷ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বাতিল হওয়া দু’টি পেপারের পরীক্ষা নেওয়া দিনক্ষণ বদল করা হবে না বলে জানা গিয়েছে৷ তবে, ওই দিন বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ থাকায় পরীক্ষা কেন্দ্র পৌঁছতে বেশ সমস্যায়

c0b77d66c393613a978abe693311a853

D.EL.Ed পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের

কলকাতা: D.EL.Ed পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ ডিইএলইডি-র পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলার আবেদ জানানো হলেও তা গুরুত্ব দেয়নি হাইকোর্ট৷ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বাতিল হওয়া দু’টি পেপারের পরীক্ষা নেওয়া দিনক্ষণ বদল করা হবে না বলে জানা গিয়েছে৷ তবে, ওই দিন বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ থাকায় পরীক্ষা কেন্দ্র পৌঁছতে বেশ সমস্যায় পড়তে চলেছেন রাজ্যের ১ লক্ষ, ৬৯ হাজার শিক্ষক৷

আজ প্রশ্ন ফাঁস মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে৷ ৩ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা দিন নিয়ে এদিন আপত্তি তোলা হয়৷ সরকার পক্ষের আইনজীবী এই পরীক্ষায় স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করেন৷ বিইএলইডি-র পরীক্ষা যাতে ৩ ফেব্রুয়ারি না নেওয়া হয় তার জন্য, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ৷ ২০ ও ২১ ডিসেম্বর ডিইএলঅডির ৫০৬ ও ৫০৭ নম্বরের পেপারে পরীক্ষা হয়৷ প্রশ্ন ফাঁসের জন্য পরে এনআইওএস শুধু পশ্চিমবঙ্গে সেই পরীক্ষা বাতিল করে৷ সর্বভারতীয় পরীক্ষা নেওয়া হলেও শুধুমাত্র রাজ্যে এই পরীক্ষা বাতিল করা হল, তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলা হয়৷ দায়ের হয় মামলা৷ প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার দায় কার? তা নিয়েও ক্ষোভ জমে শিক্ষকদের মধ্যে৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির মাসুল কেন গুনবেন শিক্ষকরা? এই প্রশ্ন তুলে আদালতে যান শিক্ষকদের একাংশ৷ কিন্তু, এদিনের মামলার শুনানিতেই শিক্ষকদের আবেদন ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে আদালত সূত্রে খবর৷ আদালতে তরফে স্থগিতাদেশ না আসায় আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই রাজ্যের প্রায় পৌনে দু’লক্ষ প্রশিক্ষণরত স্কুলশিক্ষকের ডিএলএড পরীক্ষায় বসছেন৷

বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের মধ্যে পরীক্ষার দিন ঘোষণা হওয়ায় দিন বদলের জন্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করল বাম পরিষদীয় দল৷ বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার করার আর্জি জানিয়ে পার্থবাবুকে চিঠি দিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী৷

গত ২০-২১ ডিসেম্বর গোটা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যের ওই শিক্ষকরাও সেই পরীক্ষা দিয়েছিলেন৷ কেন্দ্রের নির্দেশে প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে৷ তা না হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের চাকরি থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দেবে৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠার পর কেন্দ্রের নির্ধারিত সংস্থা এনআইওএস কেবল বাংলার জন্য তা বাতিল করে৷ দু’দিনের সেই পরীক্ষা এবার আগামী ৩ তারিখ একদিনেই নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ ব্রিগেডের দরুণ ওই দিন রাস্তাঘাটে যানবাহন সমস্যা দেখা দিতে পারে ও বহু শিক্ষক পরীক্ষাকেন্দ্রে সময়ে পৌঁছতে পারবেন না বলে মনে করছেন স্বয়ং সুজনবাবুই৷ তাই এ বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে অবিলম্বে কথা বলার আর্জি জানিয়েছেন তিনি পার্থবাবুকে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *