মতুয়া ভোট পেতেই কি অসুস্থ বড়মাকে ‘ডি লিট’ গিফট?

কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার তৃণমূলের নিশানায় মতুয়া সম্প্রদায়। ঠাকুরনগরের মতুয়া সম্প্রদায়ের বড়মা বীণাপাণি দেবীকে ‘ডি লিট’ সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করল কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বীণাপাণিদেবীকে দেওয়া হবে এই সম্মান। সোমবার একথা ঘোষণা করবে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কার্যকরী কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে বড়মা বীণাপাণি দেবীকে সম্মান দেওয়ার কথা

মতুয়া ভোট পেতেই কি অসুস্থ বড়মাকে ‘ডি লিট’ গিফট?

কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার তৃণমূলের নিশানায় মতুয়া সম্প্রদায়। ঠাকুরনগরের মতুয়া সম্প্রদায়ের বড়মা বীণাপাণি দেবীকে ‘ডি লিট’ সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করল কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বীণাপাণিদেবীকে দেওয়া হবে এই সম্মান।

সোমবার একথা ঘোষণা করবে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কার্যকরী কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে বড়মা
বীণাপাণি দেবীকে সম্মান দেওয়ার কথা উঠে আসে। বৈঠকে সকলের সম্মতি নিয়েই রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য আবেদন করে কার্যকরী কমিটি। অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এর আগে ‘ডি লিট’ দেওয়ার কথা ছিল সাহিত্যিক অশ্রুকুমার শিকদারকে। কিন্তু তার
অকাল প্রয়াণে ডি লিটের জন্য বীণাপাণি দেবীর নাম স্থির করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রাজনৈতিক অভিসন্ধি

এখন প্রশ্ন উঠছে, বড়মাকে ‘ডি লিট’ দেওয়ার পিছনে তৃণমূলের কোন রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে কি না।

উল্লেখ্য, মতুয়া সম্প্রদায়কে ঘিরে রাজনৈতিক দাঁড়িপাল্লায় তুল্যমূল্য লড়াই শুরু করেছে তৃণমূল-বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর নদীয়া জেলায় প্রভাব বিস্তার করেছে বিজেপি। তার ওপর কিছুদিন আগেই ঠাকুরনগরে গিয়ে বড়মার সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সেদিন প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরনগরের সফরের আয়োজন করেছিলেন সর্বভারতীয় মহাসঙ্ঘের সভাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। সব মিলিয়ে মতুয়া ভোটে বিজেপির যে পাল্লাভারী সে বলার আর অবকাশ থাকে না।

তাই থেমে থাকতে রাজি নয় তৃণমূল সরকারও। নদীয়া জেলার পাশাপাশি রাজ্যে মতুয়াদের সংখ্যা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। তাই নদীয়া জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে মতুয়াদের ভোট কাছে টানতেই রাজ্য সরকারের এই
পদক্ষেপ, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এমনকি বড়মাকে “ডি লিট” দেওয়ার পিছনে
তৃণমূলের রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে জানিয়েছেন শান্তনু ঠাকুরও।

কেন বড়মাকে “ডি লিট” ?

শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও, মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য বীণাপাণি দেবীর অবদান অনস্বীকার্য। সমাজ সংস্কারক হিসেবেও নাম রয়েছে বীণাপাণি দেবীর। দুই বাংলার মানুষের জন্য তাঁর অবদান রয়েছে। সেকারণেই বড়মাকে “ডি লিট” দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই মুহূর্তে শারীরিক অসুস্থতার কারনে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বীণাপাণি দেবী। বুকে কফ জমার কারণেই ভর্তি করা হয়েছে বীণাপাণি দেবীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =