শ্রীনগর: কথায় আছে, রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় আর উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে পাক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের হামলা ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি আমাদের সকলেরই জানা। উপত্যকায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থাকার কারণে নিরাপত্তা বলায় যথেষ্টই আঁটসাট,তারপরেও কী করে আইইডি ভর্তি গাড়ি নিয়ে সেখানে জঙ্গি ঢুকে পড়ল তানিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক কাটাছেঁড়া হয়েছে। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে জইশ ঘাঁটি বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকও করে এসেছে বায়ুসেনা। এই ঘটনার পর থেকে বিজেপি নেতামন্ত্রীরা জঙ্গি নিধনের বিবিধ তথ্য দিতে শুরু করেছেন, যা নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। কেননা সেই তথ্যের মধ্যে মতপার্থক্য বর্তমান।
এদিকে জঙ্গিহানা ও এয়ার স্ট্রাইকের পর থেকে উপত্যকায় সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলির অবস্থা শোচনীয়। গত ১৫ দিনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে অবিরাম আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে বিরামহীন গোলাগুলি বর্ষণের কারণে পুঞ্চ ও রাজৌরি সেক্টরের সমস্ত স্কুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত সাতদিন ধরে ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। সেশনের মাঝপথে পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়ায় অভিভাবকরাও বিপদে পড়েছেন। প্রাণহানির ভয়ে সকলে কাঁটা হয়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই অবিরাম যুদ্ধ পরিস্থিতির ভুক্তভোগী।
Mohammed Rafiq, a resident of Ajote, Poonch: Schools have been shut down for many days now, few exams have also been cancelled; firing from the Pakistani side is going on. What do we do? We are not educated enough to even teach our kids at home. #JammuAndKashmir pic.twitter.com/yUBe02QJU5
— ANI (@ANI) March 4, 2019
একসময় এসব কারণেই নিজেদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফের সেই বিপদে পড়েছে পরবর্তী প্রজন্ম, এদিকে অভিভাবকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মান এতটাও স্বচ্ছন্দের নয় যে তাঁরা ছেলেমেয়েদের বাড়িতেই পড়িয়ে তৈরি করবেন। তাই প্রশাসনের কাছেই দরবার করছেন, একটাই ইচ্ছে যত তাড়াতাড়ি এই যুদ্ধ পরিস্থিতি মিটে যায় ততই ভাল। তাহলেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে আগের মতো কাজকর্মও শুরু হবে।