কলকাতা: সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে প্রান্তিক শ্রেণীর পড়ুয়াদের সুযোগ বাড়ানো হবে। তাদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার বাড়তি প্রয়াস নেবে কর্তৃপক্ষ। বাড়তি খরচের দায় নিতে এবার পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীদের এগিয়ে আসার আর্জি জানালেন স্বশাসিত কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার ডোমিনিক স্যাভিও।
জেভেরিয়ান, অর্থাৎ সেন্ট জেভিয়ার্সের পড়ুয়াদের উদ্দেশ করে অধ্যক্ষ সমাজে প্রান্তিক এবং অবহেলিতদের কথা মাথায় রেখে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন করেছেন। ১৫৯ বছরের এই প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদানের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিশদ জানিয়েছেন তিনি। ”নিহিল আল্ট্রা” অর্থাৎ উৎকর্ষের খোঁজে—এটাই কলেজের আদর্শ। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ পশ্চিমবঙ্গের প্রথম স্বায়ত্বশাসিত কলেজ। ইউজিসি এই কলেজকে ”কলেজ অফ এক্সেলেন্স” হিসেবে ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি দিয়েছে। মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৮,৫৪৬। ৩৪২ জন শিক্ষক ও ২৪৮ জন সহায়ক আছে এই কলেজে।
অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, দূরত্বের জন্য শহরের ক্যাম্পাসে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা বাংলা মাধ্যমের বেশির ভাগ গ্রামীণ শিক্ষার্থী (বিশেষত মেয়েরা) সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ভর্তি হতে দ্বিধা বোধ করে। এবার সেই সমস্যা দূর করতে চায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই সূত্রেই, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে কলেজটি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নেপালগঞ্জের কাছে অবস্থিত রাঘবপুরের গ্রামীণ ক্যাম্পাস শুরু করে। বর্তমানে রাঘবপুর ক্যাম্পাসে স্নাতক স্তরে বাংলা, ইতিহাস ও বাণিজ্য বিষয়ে অনার্স পড়ানো হয়। এছাড়াও চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে ক্যাম্পাসে বাংলা ভাষায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পাঠও দেওয়া হবে। বর্তমানে এই ক্যাম্পাসে ৩২০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। এর মধ্যে ৬৫শতাংশ মেয়ে এবং ৩৫শতাংশ ছেলে। এই ক্যাম্পাসের ছাত্ররা তাঁদের স্নাতক গবেষণা সম্পন্ন হওয়ার পর সেখানে স্নাতকোত্তর গবেষণা চালাতে পারবেন। গ্রামীণ ছাত্রদের জন্য উচ্চতর গবেষণার সুযোগ বিস্তৃত করার জন্য ক্যাম্পাস আরও সম্প্রসারণের প্রয়োজন। অতএব, একাডেমিক বিল্ডিং ছাড়াও এই প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে অন্য একাডেমিক ব্লকের প্রয়োজন রয়েছে। কলেজটি ভবিষ্যতে কমিউনিটি কলেজ এবং একটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছে।