আজ বিকেল: একদিন যারা ভবিষ্যতের নাগরিক গড়বে তারাই আজ নকল করে শিক্ষক হওয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চাইল। থুড়ি চাইছেন, হচ্ছেও তাই। ডিএলএড- এর পরীক্ষার্থীরা হলে বসেই বই থেকে উত্তরপত্রে লিখছিল।
অভিযোগ, পরীক্ষার হলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের সহযোগিতায় চলছিল টোকাটুকি। কিন্তু আচমকাই পরীক্ষারকেন্দ্রের পরিদর্শনে এসে পড়েন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক। বিপদ বুঝে পরীক্ষার্থীদের সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ দেন কর্তব্যরত শিক্ষকরা। তাই টোকাটুকি বন্ধ করতে পরীক্ষার্থীরা বাধ্য হয়। বিষয়টি এতদিন অন্ধকারে থাকলেও সম্প্রতি ডিএলএড পরীক্ষার্থীদের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় আলোড়ন শুরু হয়েছে।
মজার বিষয় হল ভিডিওতে এক ডিএলএড পরীক্ষার্থী চুমকি চৌধুরি রীতিমতো দায়িত্ব নিয়ে বললেন, তাঁদের মাত্র দুটি পরীক্ষা হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই হলে বসে দেদার টোকাটুকির ছাড়পত্র দিয়েছেন হলে নজরদারি চালানো শিক্ষকরা। প্রথমদিন তাই বই খুলে উত্তরপত্ ভরতে সময় লাগেনি। কিন্তু ইংরেজি পরীক্ষা ছিল দ্বিতীয় দিন, সেদিন আচমকাই পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিদর্শনে আসেন দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই। এদিকে এসআইকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখেই কর্তব্যরত শিক্ষকরা তড়িঘড়ি পরীক্ষার্থীদের সাবধান করেন। স্বাভাবিকভাবেই টোকাটুকিতে বাধা পড়ে, যার জেরে পরীক্ষা ভাল হয়নি। তাই ফের তিনঘণ্টা সময় চেয়ে ইংরেজি পরীক্ষার আবেদন জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পরীক্ষার্থীরা।
টোকাটুকি করতে না পেরে হবু শিক্ষকদের বিক্ষোভ বোধহয় আগে দেখেনি রাজ্য, তাই ভিডিওটি ভাইরাল হতেই উঠছে প্রশ্ন।