মারণ রোগকে হারিয়ে দেশের হিরো শ্রীধর

নয়াদিল্লি: শরীরে বাসা বেঁধেছিল মারণ রোগ। কিন্তু সেই প্রতিবন্ধকতা কখনও আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে বাধা দিতে পারেনি। স্বপ্ন দেখত একদিন স্টিফেন হকিং হবে। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাসে সিবিএসই’র দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষার মাঝেই তারাদের দেশে হারিয়ে যায় বিনায়ক শ্রীধর। সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ইংরেজি, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃত – এই তিনটি পরীক্ষা দিতে পেরেছিল নয়ডার শ্রীধর। এই

মারণ রোগকে হারিয়ে দেশের হিরো শ্রীধর

নয়াদিল্লি: শরীরে বাসা বেঁধেছিল মারণ রোগ। কিন্তু সেই প্রতিবন্ধকতা কখনও আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে বাধা দিতে পারেনি। স্বপ্ন দেখত একদিন স্টিফেন হকিং হবে। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাসে সিবিএসই’র দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষার মাঝেই তারাদের দেশে হারিয়ে যায় বিনায়ক শ্রীধর।

সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ইংরেজি, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃত – এই তিনটি পরীক্ষা দিতে পেরেছিল নয়ডার শ্রীধর। এই বিষয়গুলিতে প্রায় ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ১০০, ৯৬ ও ৯৭। বাকি দুটি পরীক্ষা আর দেওয়া হয়নি। রেজাল্ট প্রকাশ হওয়ার পর শ্রীধরের মা মমতার অবলম্বন একরাশ স্মৃতি।

আড়াই বছর বয়স থেকেই দুরারোগ্য মাসকুলার ডায়স্টোফিতে আক্রান্ত শ্রীধর। শরীরে ডায়াট্রোফিন নামক এক প্রোটিনের অভাবে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। জিনঘটিত এই সমস্যায় পেশির নড়াচড়া খুবই সীমিত হয়ে যায়। এই জটিল সমস্যা সত্ত্বেও কোনও বিশেষ সুবিধা নিতে চাইত না সে। মমতাদেবী বলেন, ‘পেশি সমস্যা থাকায় ও স্বাভাবিকভাবে ঘোরাফেরা করতে পারত না। হুইলচেয়ার ছাড়া নড়াচড়া করতে সমস্যা হতো। কিন্তু ওর আত্মবিশ্বাস, উদ্যম দেখলে কে বলবে, শরীরে এত সমস্যা!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + eighteen =