বিদ্যুৎ ছাড়াই দিব্যি আছেন এই অধ্যাপিকা, গাছ আর পশু পাখিরাই এখন তাঁর বন্ধু

পুণে: গরমে হাঁসফাঁস করছে বাংলা৷ মাথার উপর পাখা চললেও দরদরিয়ে ঘামছে আম জনতা৷ পাখার আরাম যথেষ্ট নয় বলে কুলার, এসির ব্যবস্থাও চলছে৷ কিন্তু, ২০১৯-এ দাঁড়িয়ে এখনও এমন মানুষ রয়েছেন যিনি প্রায় সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন বিদ্যুৎ ছাড়াই৷ এসি, কুলার, পাখা ছাড়াই কাটিয়ে দিয়েছেন জীনবেন ৭৯টি বছর৷ এখনও পর্যন্ত ব্যবহার করেননি কোনও ইলেকট্রিসিটি সামগ্রী৷ স্বেচ্ছায় বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ ছাড়াই দিব্যি আছেন এই অধ্যাপিকা, গাছ আর পশু পাখিরাই এখন তাঁর বন্ধু

পুণে: গরমে হাঁসফাঁস করছে বাংলা৷ মাথার উপর পাখা চললেও দরদরিয়ে ঘামছে আম জনতা৷ পাখার আরাম যথেষ্ট নয় বলে কুলার, এসির ব্যবস্থাও চলছে৷ কিন্তু, ২০১৯-এ দাঁড়িয়ে এখনও এমন মানুষ রয়েছেন যিনি প্রায় সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন বিদ্যুৎ ছাড়াই৷ এসি, কুলার, পাখা ছাড়াই কাটিয়ে দিয়েছেন জীনবেন ৭৯টি বছর৷ এখনও পর্যন্ত ব্যবহার করেননি কোনও ইলেকট্রিসিটি সামগ্রী৷ স্বেচ্ছায় বিদ্যুৎ ছাড়া জীবন কাটিয়েছেন এই দেশেরই এক অধ্যাপক।

বছর ৭৯। প্রাক্তন অধ্যাপক হেমা সান৷ পুণের বুধওয়ার পেথে বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই বাসবাস করছেন এই অধ্যাপক৷ বিদ্যুৎ ব্যবহার না করার পিছনে তাঁর একমাত্র কারণ প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। হেমা বলেন, “খাদ্য, আশ্রয় ও পোশাক আমাদের মৌলিক চাহিদা। এক সময়ে তো বিদ্যুৎ ছিল না, অনেক পরে মানুষ বিদ্যুৎ পেয়েছে। আমি বিদ্যুৎ ছাড়াই দিব্যি থাকতে পারি।” ডাঃ হেমা সানের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী বা তাঁর সাহচর্য সবই হল তাঁর কুকুর, দুই বিড়াল, এক নেউল ও প্রচুর পাখি৷

হেমা বলেন, “এটা ওদেরই সম্পত্তি, আমার নয়। আমি ওদের দেখাশোনা করার জন্য এখানেই আছি। মানুষ আমাকে বোকা বলে, আমি উন্মাদ হতেই পারি কিন্তু এটা আমার কাছে কোনও ব্যাপার নয়, কারণ এটাই আমার জীবনের অদ্ভুত পথ। আমি যেমন পছন্দ করি তেমনই জীবন যাপন করতে পারি।”

হেমা সানে পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ে বোটানিতে পিএইচডি করেন ও তিনি বহু বছর ধরেই পুণের গারওয়ারে কলেজে অধ্যাপনা করেন। বুধওয়ার পেটের একটি ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে বসবাস করেন হেমা। বিভিন্ন ধরনের গাছ ও পাখির সঙ্গে কাটে জীবন৷ উদ্ভিদবিদ্যা ও পরিবেশ বিষয়ে ডাঃ হেমা সানে অনেক বইও লিখেছেন। এমনকি আজও, যখনই তিনি তার বাড়িতে একা থাকেন তখনই তিনি নতুন বই লেখেন। পরিবেশ সম্পর্কে তাঁর গবেষণা এমনই যে কোনও পাখি বা বৃক্ষ তার কাছে অজানা নয়।

ডাঃ হেমা সানে আরও বলেন, “আমি আমার সারা জীবনে বিদ্যুতের প্রয়োজনই অনুভব করিনি। লোকেরা প্রায়ই আমাকে জিজ্ঞেস করে যে আপনি কীভাবে বিদ্যুৎ ছাড়াই বাঁচেন? আমি ওদের পালটা জিজ্ঞেস করি, বিদ্যুৎ নিয়ে আপনি কীভাবে থাকেন?’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 5 =