আজ বিকেল: এবার পড়ুয়াদের ভালমন্দের বিষয়টি অভিভাবকদের আগে দেখবাল করবে সমগ্রশিক্ষা মিশন। সেজন্য প্রতি ছাত্র পিছু রিপোর্ট কার্ড যাবে স্কুলে, শিক্ষা দপ্তরের সিদ্ধান্তেই এমনটা ঘটতে চলেছে। সমগ্রশিক্ষা মিশনের তরফে ইতিমধ্যে স্কুলে কার্ড পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে।ক্লাসে কোনও পড়ুয়ার কোন বিষয়ে কতটা খামতি, তার অমনযোগই বা কীসে তা এবার অভিভাবকদের লিখিতভাবে জানানো হবে। রিপোর্ট কার্ড দেখে অভিভাবকরা সই করে দেবেন। এমন উদ্যোগ এই প্রথমবার নিল সমগ্রশিক্ষা দপ্তর।
কোন ক্লাসে বাচ্চারা কী শিখবে, তা আগে থেকেই অভিভাবকদের জানিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্কুলে স্কুলে এ নিয়ে পোস্টারিং করা হয়েছে। অভিভাবকদের বুকলেটও দেওয়া হয়েছে। সেই মতো বাবা-মায়েরা বছরের শেষে তা মিলিয়ে নিতে পারবেন। এবার ক্লাসে পড়ুয়াদের খামতি এবং অগ্রগতির কথাও লিখিত আকারে বাবা-মায়েদের জানিয়ে দেওয়া হবে। রিপোর্ট কার্ডের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিরবিচ্ছিন্ন সার্বিক মূল্যায়নের প্রগতি পত্র’। রিপোর্ট কার্ডের কভার পাতায় পড়ুয়ার ছবি, নাম, ক্লাস ইত্যাদি থাকবে। ভিতরে সামেটিভ বা পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের নম্বর দেওয়ার জায়গা রয়েছে। ক্লাসের পাঠের সঙ্গে একজন বাচ্চার সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতা কেমন, সমন্বয় সাধনের সক্ষমতা কেমন, সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কীভাবে কাজ করে সে এবং মানসিক ও শারীরিক সমন্বয়ের দক্ষতার উপর নম্বর দেওয়া হবে পড়ুয়াদের। মোট তিনটি পরীক্ষায় কত নম্বর সে পেল, তার ভিত্তিতে গ্রেড দেওয়া হবে।
একইভাবে প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়নের ভাগও করা আছে। সেখানে ক্লাসে একজনের বাচ্চার অংশগ্রহণ, প্রশ্ন করা ও অনুসন্ধানে কতটা আগ্রহ রয়েছে, ব্যাখ্যা ও প্রয়োগের সামর্থ্যই বা কত, নান্দনিকতা ও সৃষ্টিশীলতার প্রকাশে একজন পড়ুয়ার মূল্যায়ন করে নম্বর দেওয়া হবে। রিপোর্ট কার্ডের একটি অংশে ক্লাসের শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক এবং অভিভাবকের সই করার জায়গাও রয়েছে। নম্বর দেওয়ার পর একজন শিক্ষার্থীর কোনও বিশেষ কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি নিয়ে শিক্ষকরা মন্তব্য করবেন। এছাড়াও পড়ুয়াদের কোন জায়গায় কী খামতি বা দুর্বলতা রয়েছে, তাও উল্লেখ করবেন শিক্ষকরা। অভিভাবকদেরও যদি কিছু বলার থাকে, সেটিও এই রিপোর্ট কার্ডে উল্লেখ করা যাবে।