আজ বিকেল: জঙ্গল নিয়ে আগ্রহ আছে, তাহলে দেরি না করে ভূগোল, জীববিদ্যা প্রকৃতি বিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করে ফেলুন। তাহলেই হাতের কাছে রয়েছে প্রকৃতিবিদের চাকরি। হ্যাঁ প্রকৃতিবিদ, যত তাড়াতাড়ি জঙ্গল, পাখি, অন্যান্য কীটপতঙ্গ ও পশু পাখি চিনবেন ততই প্রকৃতির চোখে প্রিয় হয়ে উঠবেন। অপার্থিব ধনসম্পদ নিয়ে প্রকৃতিও আপনার অপেক্ষায় রয়েছে, শুধু তাকে চিনে নেওয়ার পালা।
প্রকৃতিবিদের চাকরি আজকের দুনিয়ায় বেশ লাভজনক। কংক্রিটের জঙ্গল তৈরি করতে গিয়ে প্রকৃতিদত্ত জঙ্গলকে হেলায় কেটে ফেলেছে মানুষ। মানব সভ্যতার উন্নতির রথের চাকায় পিষ্ট হয়েছে প্রকৃতি, তবুও যা বেঁচেবর্তে আছে সেটুকুকেই বাঁচাতে পারেন আপনি। আজ যখন কোনও অভয়ারণ্য, ন্যাশনাল পার্কে আপনি ঘুরতে যান তখন নিজের বিদ্যায় খানিকটা ঘুরে দেখে নিতে পারেন। কিন্তু ভালভাবে জঙ্গলকে বোঝা হবে না, দেখাও না। তাই জঙ্গলকে চিনতে হলে সেখানে দিনের পর দিন পড়ে থাকতে হবে, জঙ্গলের আবহাওয়া, কীটপতঙ্গ, পোকামাকড়, পশুপাখি, গাছ চেনা, পাহাড়, মিনারেলস সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে। পর্যটকরা বেড়াতে এলে তাঁদের সবকিছু ঘুরিয়ে দেখানো, গাছ, পাখি, পতঙ্গ চেনানো। জঙ্গলে মড়ক লাগলে তা সমাধানের রাস্তা খোঁজা গবেষণা করে পতঙ্গ, গাছ, পাখি বাঁচানোর জন্য রিসার্চ পেপাড় তৈরি করা। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানমঞ্চে সেসব নিয়ে আলোচনার অবকাশ রয়েছে।
আমাদের দেশ ইঞ্জিনিয়র পড়ুয়া থেকে বাণিজ্য বিভাগের উজ্জ্বল ছাত্রীও প্রকৃতিবিদের পেশা বেছে নিতে দুমিনিট ভাবেন না। জঙ্গলে বেড়াতে এসে অনেক পর্যটকই মহিলা প্রকৃতিবিদ দেখে প্রথমেই চমকে ওঠেন। এই পেশায় সমৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। প্রথমে ইন্টার্নশিপ দিয়ে কাজ শুরু করে জুনিয়র পরে সিনিয়রের পদে আসা। ১০ হাজার টাকা বেতন দিয়ে কাজ শুরু করলে একদিন সর্বোচ্চ বেতন পৌঁছাবে ৭০ হাজারে। শুধু পেশার দিক থেকে লাভবান হওয়াই নয়, প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে থাকার রসদ খুঁজে পাবে।