বাবা সিকিউরিটি গার্ড, মা দিনমজুরি! বাবা-মায়ের কষ্ট ঘোচাল সফল আয়ুষ্মান!

ভোপাল: রঙির বিশ্বের হাতছানি, দারিদ্রতাকে পিছিয়ে ফেলে লক্ষ্যে অবিচল থেকে অবশেষে সাফল্য এল নিরাপত্তারক্ষীরের পরিবারে৷ দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার তাকলাগানো ফলা করে নজরির গড়লেন আয়ুষ্মান তামরাকর৷ ৫০০-র মধ্যে আয়ুষ্মানের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৯৷ কিন্তু, ঠিক কীভাবে এল এই সাফল্য? সেকথা নিজেই জানালেন আয়ুষ্মান৷ বাবা, বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী৷ মা দিনমজুরি৷ মাস গেলে ১০ হাজারি বেতনে কোনোক্রমে চলে

বাবা সিকিউরিটি গার্ড, মা দিনমজুরি! বাবা-মায়ের কষ্ট ঘোচাল সফল আয়ুষ্মান!

ভোপাল: রঙির বিশ্বের হাতছানি, দারিদ্রতাকে পিছিয়ে ফেলে লক্ষ্যে অবিচল থেকে অবশেষে সাফল্য এল নিরাপত্তারক্ষীরের পরিবারে৷ দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার তাকলাগানো ফলা করে নজরির গড়লেন আয়ুষ্মান তামরাকর৷ ৫০০-র মধ্যে আয়ুষ্মানের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৯৷ কিন্তু, ঠিক কীভাবে এল এই সাফল্য? সেকথা নিজেই জানালেন আয়ুষ্মান৷

বাবা, বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী৷ মা দিনমজুরি৷ মাস গেলে ১০ হাজারি বেতনে কোনোক্রমে চলে চার জনের সংসার৷ দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই এখন তাঁদের কাছে জলভাত৷ তবে, দারিদ্রতার প্রভাব একচুলও পড়েনি আয়ুষ্মানের পঠন-পাঠনে৷ দারিদ্রতাকে জয় করে রঙিন বিশ্বের হাতছানি উপেক্ষা করে মধ্যপ্রদেশের দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার টপারের তালিকায় নাম তুললেন মেধাবী আয়ুষ্মান৷

ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা বিমল তামরাকর জানান, ‘‘ওকে ঠিকমতো টিউশন দিতে পারিনি৷ নিজের চেষ্টায় সেরা হয়েছে আমার আয়ুষ্মান৷’’ ছেলের সাফল্যে একটি শব্দও বলতে পারেননি দিনমজুরি মা৷ ঘরের দাওয়ায়ে বসে শুধুই চোখের জলেই জানিয়ে দিলেন, তাঁদের লড়াইয়ের সাফল্য৷

আয়ুষ্মান ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়৷ বাবা-মায়ের কঠোর পরিশ্রম দেখে রঙির বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক রাখানেনি আয়ুষ্মান৷ দুবেলা দু’মুঠো ভাত জোগাড়ে যখন দিন-রাত পরিশ্রম করছেন বাবা-মা, তখন কি আর সোশ্যাল মিডিয়ায় মাথা গুঁজতে পারে ছেলে? করেননি আয়ুষ্মান৷ জলের দরে দেশে ডেটা বিক্রি হলেও গরিব ঘরে স্মার্টফোন যে স্বপ্ন৷ পাঠ্যপুস্তককে হাতিয়ার করে নিজের হাতেই লিখেছেন সাফল্যের কাহিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − seven =