রোজভ্যালি কাণ্ডে বছর চারেক আগে তদন্তভার হাতে তুলে নিয়েছিল ইডি। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এই চিটফান্ড সংস্থার সব সম্পত্তি এখনও অবধি বাজেয়াপ্ত করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা। এবার রোজভ্যালির তেমনই এক সম্পত্তির হদিশ মিলল। হাওড়ার ধূলাগড় ফুড পার্ক। সেখানেই রয়েছে রোজভ্যালির বিশাল এক সম্পত্তি। সেখানেই এই মুহূর্তে রমরমিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে দুটি সংস্থা। একটি আমনা এন্টারপ্রাইজ, অন্যটি এক বহুজাতিক ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থা। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল এই আমনা এন্টারপ্রাইজ করাচির একটি কোম্পানি। কীভাবে এখন তারা সেখানে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ভিতরে যারা কর্মচারীরা রয়েছেন তাঁদের অনেকেরই বক্তব্যে রয়েছে ধোঁয়াশা। সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে নারাজ অনেকেই। এই বিশাল এলাকার ভিতরেই চলে রান্না থেকে খাওয়া সবকিছুই। থাকার ব্যবস্থাও করে নিয়েছেন কর্মচারীরা। শুধু তাই নয়, গুদামের চৌহদ্দিতেই হদিশ মিলল এক গাড়ির। কাগজে কলমে গাড়িটির মালিক হুগলির বাসিন্দা উদয়ন মুখোপাধ্যায়। কিন্তু আদতে গাড়িটি কার বলতে পারছেন না সেখানকার কর্মীরাই। কিন্তু কে বা কারা এই সংস্থাকে সেখান থেকে ব্যবসা চালানোর অনুমতি দিল? কর্মীদের কাছ থেকে খোঁজ খবর নিয়ে নাম উঠে এল কুণাল নামে এক ব্যক্তির। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগও করা হলে নিজেকে রোজভ্যালির ম্যানেজার বলে পরিচয় দেন তিনি। কুণালের দাবি, ডব্লিউ বি আই ডি সি রোজভ্যালির এই গুদাম ভাড়া দিয়েছে ওই দুই সংস্থাকে। যদিও ডব্লিউ বি আই ডি সি -র আধিকারিক সম্পূর্ণ উলটো কথা বলছেন। সবটাই ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন তিনি। রোজভ্যালিকাণ্ডে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। তারই মধ্যে এই চিটফান্ড সংস্থার সুবিশাল সম্পত্তির হদিশ মেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।