মাধ্যমিকে খারাপ ফল, আজব যুক্তি পর্ষদ সভাপতির

কলকাতা: মঙ্গলবার সাতসকালে ঢাকঢোল পিটিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷ মেধা তালিকায় জেলার জয় এবারও হয়েছে৷ তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে কলকাতা৷ কিন্তু, কেন মেধা তালিকায় পিছিয়ে পড়ছে শহর কলকাতার পড়ুয়ারা? এবিপি আনন্দকে দেওয়া একটি লাইভ অনুষ্ঠানে আজব যুক্তি খাঁড়া করলেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়৷ কলকাতার পড়ুয়াদের পিছিয়ে পড়ার প্রধান কারণ হিসাবে এদিন তিনি সোশ্যাল

মাধ্যমিকে খারাপ ফল, আজব যুক্তি পর্ষদ সভাপতির

কলকাতা: মঙ্গলবার সাতসকালে ঢাকঢোল পিটিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷ মেধা তালিকায় জেলার জয় এবারও হয়েছে৷ তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে কলকাতা৷ কিন্তু, কেন মেধা তালিকায় পিছিয়ে পড়ছে শহর কলকাতার পড়ুয়ারা? এবিপি আনন্দকে দেওয়া একটি লাইভ অনুষ্ঠানে আজব যুক্তি খাঁড়া করলেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়৷

কলকাতার পড়ুয়াদের পিছিয়ে পড়ার প্রধান কারণ হিসাবে এদিন তিনি সোশ্যাল মিডিয়াকেই দায়ী করেন৷ পড়ুয়াদের হাতে হাতে ফোন, নেট চলে আসার কারণেই কলকাতার ছেলে মেয়েদের ফলাফল খারাপ হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বলেন পর্ষদ সভাপতি৷ বলেন, ‘‘আজ অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের হাতে ফোন তুলে দিচ্ছেন৷ শহরের ছেলেমেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় নষ্ট করছে৷ কিন্তু, গ্রামের ছেলে মেয়েদের সেই সুযোগ থাকে না৷ তাই তারা ফাল করে৷’’

কিন্তু, ২০১৯-এ দাঁড়িয়ে এই দাবি আদৌ কি যুক্তিযুক্ত? পর্ষদ সভাপতির এই মন্তব্য বাড়িয়েছে বিতর্ক৷ এদিনের ওই অনুষ্ঠানে বেশির ভাগ পড়ুয়ার জানান, তারা সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেটে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন৷ তবে, পরীক্ষার আগে নেট দুনিয়া থেকে বিরত থাকে তারা৷ পর্ষদ সভাপতির সামনেই ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের প্রসঙ্গ তোলেন সফল পড়ুয়ারা৷ এরপর ফের পর্ষদ সভাপতি যুক্তি দেন, ‘‘আমি একবারও বলছি না, ইন্টারনেট ব্যবহার খারাপ৷ আমি বলছি, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পড়ুয়ারা তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে৷’’

পর্ষদ সভাপতি যাতই যুক্তি দিন না কেন, পর্যবেক্ষক মহলে বলছে অন্য কথা৷ তাঁদের দাবি, আসলে ভাল কেরিয়ার গড়তে শহরের পড়ুয়াদের সিংহভাগ অংশ ছুটছে ইংরেজি মাধ্যমে৷ সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে সাফল্যের প্রতিযোগিতার দৌড়৷ আর সেই কারণেই বাংলা মাধ্যমে পিছিয়ে পড়ছে কলকাতা৷ সিবিএসসি, আইসিএসসিতেও মেধাতালিকায় নাম উঠে আসছে কলকাতার পড়ুয়াদের নাম৷ তাহলে কেন বাংলা মাধ্যম থেকে উঠে আসছে না পড়ুয়াদের নাম? এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫১ জনের নাম প্রথম দশে এলেও, ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে মাত্র ৮ হাজার পড়ুয়া৷ এবারের মাধ্যমিকেও মধ্যমেধার ছড়াছড়ি৷ আর তাই নিয়েই সাফল্যের ঢাক বাজিয়ে চলেছে পর্ষদ৷ আদতে মেধার লড়াইয়ে অনেকটাই পিটিয়ে পড়ছে বাংলা মাধ্যম৷ সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় বারংবার ধাক্কা খেতে হচ্ছে বাংলার পড়ুয়াদের৷ তার পরও কেন এই নম্বরের প্রতিযোগিতা? মেধার বিকাশের প্রতিযোগিতা হলে ক্ষতি কোথায়? প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =