২০১৮ সাল দোরগোড়ায়৷ তৃণমূল, বাংলা তথা সারা দেশের জন্য ‘ল্যান্ডমার্ক’ ছিল এই বছরটা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল জয় থেকে শুরু করে ২০১৯ এর লক্ষ্যে ব্রিগেড চলার ডাক৷ নানা ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ২০১৮।
এক নজরে দেখে নিন ২০১৮ সালের কিছু ঘটনা:
জানুয়ারি: উত্তীর্ণতে অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠক। এই প্রথম আলিপুরের নবনির্মিত মুক্তমঞ্চে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাংসদ ও বিধায়কদের পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের নেতানেত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। এই বৈঠকে আগামী দিনে দলের পথচলার রোডম্যাপ দেন তৃণমূলনেত্রী।
ফেব্রুয়ারি: অন্যান্য বছরের মত এবছরও তৃণমূল কংগ্রেসের বার্ষিক ছাত্র-যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে, এই বছর উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলির জন্য দুটি আলাদা সম্মেলন আয়োজিত হয়। উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে এবং দক্ষিণে হাওড়ার ডুমুরজলায় সম্মেলন করে দল।
মার্চ: এফসিআরএ বিলের সংশোধনীর বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদরা সংসদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না দেন। ধর্ণার সময় সাংসদরা বিভিন্ন স্লোগান তোলেন, যেমন – “বিদেশী কালো টাকা পার্টি ফান্ডে নেওয়া চলবে না” কিংবা “হৈ হট্টগোলে চুপিসারে সংশোধনী পাস হল কেন” এবং “বিদেশের কালো টাকা = দেশের পার্টি ফান্ডে সাদা টাকা”
এপ্রিল: তৃণমূল চিরকালই ‘৩৬০ ডিগ্রি কমিউনিকেশন’ পন্থায় বিশ্বাসী। দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে মিটিং মিছিল, ঘরে ঘরে প্রচার থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার – সব দিকেই সমান জোর দেয় তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারেও অন্যথা হয় নি। পঞ্চায়েতের প্রচারের মাঝে দলের নেতারা যোগ দেন এক ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে। বিপুল সংখ্যক দর্শক টেনে জনপ্রিয় হয় এই অনুষ্ঠান ‘পাঁচটায় পঞ্চায়েত’।
মে: ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃনমূল কংগ্রেস শুধুমাত্র একক সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, পঞ্চায়েতের তিন স্তরে ৯০%-রও বেশি আসনে জয়ী হয়৷
জুন: দলের নেতা মন্ত্রী ও কর্মীদের জনসংযোগ বাড়ানোর উপর জোর দিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
জুলাই: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একগুচ্ছ বার্তা দেন। ২০১৯ সালে বিজেপি ফিনিশ, বলেন তিনি। এছাড়াও ভবিষ্যতের কর্মসূচির রূপরেখা বাতলে দেন তিনি।
আগস্ট: গত ৩০ জুলাই প্রকাশিত হয় অসমের ‘রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জির’ চূড়ান্ত খসড়া। সেই তালিকাতে নাম ছিল না ৪০ লক্ষ মানুষের। এই মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। সংসদের ভেতরে ও বাইরে এই ইস্যুতে সরব হয়েছে দল। এই নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।
সেপ্টেম্বর: সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক আধার রায়কে স্বাগত জানান তৃণমূল নেত্রী।
অক্টোবর: তৃণমূল ভবনে দলের কোর কমিটির বৈঠক হয়। উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই এই সভা পরিচালনা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নভেম্বর: অসমের তিনসুকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহত হন ৫ বাঙালি। তিনসুকিয়ার বিসনোইমুখ গ্রামে ঢুকে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তৃণমূল।
ডিসেম্বর: বেকারদের জন্য চাকরীর দাবি থেকে শুরু করে কৃষকদের দুর্দশা, সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। এই ইস্যুতে দলের সাংসদরা সংসদ চত্ত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণা দেন।