শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদ বিভ্রাট মেটাতে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের

আজ বিকেল: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এরাজ্যে ক্ষোভের অন্ত নেই। আর শিক্ষাক্ষেত্রে শূন্যপদের সংখ্যাও প্রচুর। সেই শূন্যপদ দ্রুত নির্ণয়ের জন্য নতুন অ্যাপ চালু করতে চলেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। একদিকে যেমন দীর্ঘসূত্রিতা কমবে, তেমনই কাজের চাপ কমবে ডিআই অফিসের। আবার প্রকৃত শূন্যপদের তথ্যও সহজেই জানা যাবে। কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার (এনআইসি)-কে দিয়ে এই অ্যাপ তৈরি করাচ্ছে

81427f817e8fa4d0f1e33f10036de09c

শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদ বিভ্রাট মেটাতে বড় পদক্ষেপ রাজ্যের

আজ বিকেল: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এরাজ্যে ক্ষোভের অন্ত নেই। আর শিক্ষাক্ষেত্রে শূন্যপদের সংখ্যাও প্রচুর। সেই শূন্যপদ দ্রুত নির্ণয়ের জন্য নতুন অ্যাপ চালু করতে চলেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। একদিকে যেমন দীর্ঘসূত্রিতা কমবে, তেমনই কাজের চাপ কমবে ডিআই অফিসের। আবার প্রকৃত শূন্যপদের তথ্যও সহজেই জানা যাবে। কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার (এনআইসি)-কে দিয়ে এই অ্যাপ তৈরি করাচ্ছে দপ্তর। স্কুলশিক্ষার অফিশিয়াল পোর্টাল ‘বাংলার শিক্ষা’-কে ভিত্তি করেই অ্যাপটি কাজ করবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে, পুরো বিষয়টাই এখনও পরীক্ষানিরীক্ষার স্তরে রয়েছে।

নিয়ম অনুসারে, কোনও স্কুল শিক্ষক অবসর নিলে সেটা পরিচালন সমিতির মাধ্যমে ডিআই অফিসে জানানো হয়। ডিআই অফিস থেকে সেই শূন্যপদের হিসেব যায় দপ্তরে। তারপর সেখান থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনে পৌঁছে যায় সেই হিসেব নিকেশ। সেই অনুযায়ী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন। আবার, কোনও স্কুলে হঠাৎ পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যা বেড়ে গেলেও ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিক রাখার জন্য নতুন শিক্ষক পদ তৈরি করা হয়। একই প্রক্রিয়ায় তার হিসেব আসে শিক্ষা দপ্তরের কাছে। প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ তো বটেই, সঙ্গে বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কিছু শূন্যপদ হিসেবের বাইরে থেকে যাচ্ছে। তার উপর স্পেশাল ট্রান্সফার চালু হওয়ার পর বেশ কিছু শূন্যপদ লুকিয়ে রাখার প্রবণতা শুরু হয় শিক্ষা দপ্তর এবং ডিআইদের মধ্যে। সর্বোচ্চ স্তর থেকে সুপারিশ এলে তার ভিত্তিতে ওই শূন্যপদগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি করা হচ্ছিল। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, নিয়োগের পরও ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের বিরাট উন্নতি হচ্ছে না। তার অন্যতম কারণ, যে ভ্যাকেন্সির ভিত্তিতে পরীক্ষা হয়, তাতে অনেক পদই হিসেবের বাইরে থেকে যায়। শেষ পর্যন্ত যে পদে নিয়োগ হয়, তা প্রকৃত ভ্যাকেন্সির চেয়ে আরও অনেকটাই কম।
প্রকৃত ভ্যাকেন্সি এবং হিসাবকৃত ভ্যাকেন্সির মধ্যে এই ফারাকটিই নতুন অ্যাপ ঘুঁচিয়ে দেবে বলে দাবি করছেন আধিকারিকরা। এখন যে কোনও স্কুলের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নিয়মিত তুলে দিতে হচ্ছে ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে। তাতে শিক্ষকদের যোগদানের তারিখ থাকছে। বয়সের ভিত্তিতে অবসরের তারিখ বের করে নেওয়াও এমন কোনও জটিল বিষয় নয়। সেই হিসেবও হাতে থাকছে। এর ফলে, কেউ অবসর নিলে সঙ্গে সঙ্গে তা অ্যাপে উঠে যাবে। অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট দিনে কতজন শিক্ষক অবসর নিলেন, তার হিসেব থাকবে অ্যাপে। পরীক্ষার আগে একটি নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত পুরনো স্কুলগুলির অবসরপ্রাপ্তদের সংখ্যার সঙ্গে নতুন করে তৈরি বা নিউ সেট-আপ স্কুলে তৈরি হওয়া নতুন শূন্যপদের সংখ্যা যোগ করলেই প্রকৃত ভ্যাকেন্সি পাওয়া যাবে। তবে, একটি অসুবিধা থেকে যাচ্ছে। শহরাঞ্চলে সরকারি স্কুলগুলিতে ছাত্র সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে। ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিক রেখে শূন্যপদের সংখ্যাও কমবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *