কলকাতা: যেমনটা সন্দেহ করেছিলেন ঠিক তেমনটাই হল। বর্ষবরনের রাতে সব মাত্রা ছাড়িয়েছিল কলকাতার দূষণ। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায় অনুযায়ী রাত ১১টা ৫০ থেকে ১২ টা পর্যন্ত ফাটানো যাবে আতশবাজি কিন্তু সে নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সন্ধ্যে থেকেই শাব্দদানবের হাতে চলে যায় শহর। শব্দ দূষণের পাশাপাশি বায়ু দূষণও বেড়ে গিয়েছিল মাত্রাতিরিক্তভাবে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্ষবরণের শহরের বাতাসে প্রতি মাইক্রোমিটারে ধুলিকনার পরিমান ২.৫ সুচক ছুঁয়েছিল ৪০০। যাকে সাধারণ ভাষায় মারাত্মক দূষিত বাতাস হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে। দেশের রাজধানী দিল্লিতেও দূষনের পরিমানও অনেকটাই বেশী। বর্তমানে বায়ু দুষণের সুচক ৪১৭ ছুঁয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে বর্ষবরণের রাতে বাতাসে দূষণের মাত্রা যে আরও ছাড়াবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
গোটা ঘটনায় স্বভাবতই চিন্তিত পরিবেশবীদরা। তাঁদেরই একজন এস এম ঘোষ। তিনি জানালেন, বজ্র পদার্থ জ্বালিয়ে ফেলার মতো বিষয়ের জন্য দূষণ এতটা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। অন্যদিকে তাঁর মনে হয়েছে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতে প্রশাসন জেগে ঘুমচ্ছে। এর আগে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রবীন্দ্র সরোবরে ছটের উৎসব হওয়ায় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হন অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দা সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে স্বাক্ষর করেছেন ১১৭৮ জন। ইতিমধ্যেই আইন ভেঙে পুজো করায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। শুধু কলকাতা নয় দেশের একাধিক শহরের ক্ষেত্রেই বায়ু দূষণ চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে। রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতিও বেশ খারাপ।