কেন মহাভারত, শকুন্তলা পড়াতে হবে? শিক্ষানীতির খসড়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী

কলকাতা: জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া ইতিবাচক প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান শিক্ষক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে রাখা হয়েছে৷ সোমবার জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের তরফ এক আলোচনার আয়োজন করা হয়৷ সেই আলোচনায় শিক্ষাবিদ শিক্ষক সংগঠনগুলির জাতীয় শিক্ষা নীতির উপর মতামত দিয়েছেন৷ শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়ায় বাংলার কোন সংগঠনের মতামত নেওয়া হয়নি৷

কেন মহাভারত, শকুন্তলা পড়াতে হবে? শিক্ষানীতির খসড়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী

কলকাতা: জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া ইতিবাচক প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান শিক্ষক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে রাখা হয়েছে৷ সোমবার জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের তরফ এক আলোচনার আয়োজন করা হয়৷ সেই আলোচনায় শিক্ষাবিদ শিক্ষক সংগঠনগুলির জাতীয় শিক্ষা নীতির উপর মতামত দিয়েছেন৷

শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়ায় বাংলার কোন সংগঠনের মতামত নেওয়া হয়নি৷ যাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে তাদের মধ্যে রাজ্য রাজ্যের কেউ ছিলেন না৷ এমনকি ৪৮৪ পাতার খসড়ায় কথাও বিদ্যাসাগরের কথা উল্লেখ করা নেই৷ সোমবার এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ ইউজিসি পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পাঠক্রম বদল করতে বলা হয়েছে৷ ইংরেজির স্নাতকোত্তর স্তরে মহাভারত ও শকুন্তলা পড়াতে বলা হয়েছে৷ তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান জানতে চেয়েছে৷ এই নিয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের কথা বলব৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেউও বিষয়টি জানাবো৷ ইংরেজিতে কেন মহাভারত, শকুন্তলা পড়তে হবে?’’

এদিন স্কুল শিক্ষার উপর আলোচনা হয়৷ আলোচনায় অংশ নিয়ে ভাষাবিদ পবিত্র সরকার৷ বলেছেন, স্কুলে তিনটি ভাষার ওপর জোর দেওয়া হোক৷ সপ্তম শ্রেণি থেকে ৩টি ভাষা শেখানো হোক৷ পঞ্চম শ্রেণির পর হিন্দি বা সংস্কৃত ভাষাকে ঐচ্ছিক ভাষা হিসাবে রাখা যেতে পারে৷ এদিকে শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন শিক্ষাবিদ মতামত দিয়েছেন, তা এক সূত্রে বেঁধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে৷ তারপর আবারও তাঁদের সকলকে ডেকে একটি আলোচনা করা হবে৷ এবং তারপর জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি জানানো হবে৷

নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এদিন আলোচনায় অংশ নিয়ে সুকুমার পাইন বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া পার্শ্বশিক্ষকদের ২০২২ সাল পর্যন্ত কাজ থাকবে না বলে জানানো হয়েছে৷ এবিটিএ প্রস্তাব রেখেছে, পার্শ্বশিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থায়ীভাবে যুক্ত করতে হবে৷ কোনও পার্শ্বশিক্ষকের যাতে কাজ না যায় সে ব্যাপারে নজর রাখতে হবে৷ তাছাড়া প্রাক-প্রাথমিক থেকে তিনটি ভাষা শেখার কথা জাতীয় শিক্ষা নীতির উল্লেখ রয়েছে৷ কারা শেখাবেন? বলা হয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা৷ এবিটিএর বক্তব্য, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা শিশু পরিচর্চার কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করে থাকেন৷ এর মধ্যে শিশুদের তিনটি ভাষা শেখানোর দায়ভার যদি পরে যাই তাহলে অঙ্গনওয়াড়ির কাজ ও শিশুদের ভাষা শেখানো দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ যদি একান্তই তাদের শেখাতে হয়, তাহলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের স্থায়ী পদের মর্যাদা দিতে হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 4 =