শিক্ষায় বদল আনতে মাঠে নামছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি

কলকাতা: কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন শিক্ষা নীতির প্রতিবাদে এবার মাঠে নামছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি৷ আগামী ২৮ জুলাই রবিবার বারুইপুরে শিক্ষক সংগঠনের তরফে ১৪তম বার্ষিক সভার আয়োজন করা হয়েছে৷ জেলা সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই এবার পাশ-ফেল ফেরানো সহ একগুচ্ছ দাবিতে সরব শিক্ষকদের একাংশ৷ প্রথম শ্রেণি থেকে পাশ ফেল চালু, কেন্দ্রের হারে ডিএ, পে কমিশন

শিক্ষায় বদল আনতে মাঠে নামছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি

কলকাতা: কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন শিক্ষা নীতির প্রতিবাদে এবার মাঠে নামছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি৷ আগামী ২৮ জুলাই রবিবার বারুইপুরে শিক্ষক সংগঠনের তরফে ১৪তম বার্ষিক সভার আয়োজন করা হয়েছে৷ জেলা সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই এবার পাশ-ফেল ফেরানো সহ একগুচ্ছ দাবিতে সরব শিক্ষকদের একাংশ৷

প্রথম শ্রেণি থেকে পাশ ফেল চালু, কেন্দ্রের হারে ডিএ, পে কমিশন চালু, আবেদনের ভিত্তিতে বদলি, মাদ্রাসা ও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ, পাশ গ্রাজুয়েট শিক্ষাকর্মীদের বঞ্চনা দূর করা ও প্যারা ভোকেশনাল ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের মর্যাদা-সহ একগুচ্ছ দাবিতে জেলা সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে৷

শিক্ষক সংগঠনের এই জেলা সম্মেলনে উদ্বোধন করবেন অধ্যাপক নিলেশ মাইতি৷ উপস্থিত থাকবেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র৷ থাকবেন উৎপল মণ্ডল৷ নীলকান্ত ঘোষ৷ কানাইলাল দাস৷ গৌতম কুমার দাস৷ অনিমেষ হালদার। সভার সভাপতিত্ব করবেন পঞ্চানন ময়রা৷

শিক্ষায় বদল আনতে মাঠে নামছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতিসংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন শিক্ষাবিরোধী নীতির ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে এক সময়ের অগ্রগণ্য পশ্চিমবঙ্গ-সহ সারাদেশে সহকারি শিক্ষা ব্যবস্থার মান নিম্নমুখী হচ্ছে৷ আবারও শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষা কর্মী সংগঠনের ভূমিকাও অপরিসীম। বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই দলমত নির্বিশেষে সমস্ত শিক্ষকদের ঐক্যের ভিত্তিতে শিক্ষকদের মর্যাদা, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, বিজ্ঞানভিত্তিক ও সবার জন্য শিক্ষার দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল৷ দুঃখের হলেও সত্যি, আজ সেই আন্দোলন বহুবিভক্ত৷ নিছক ক্ষমতার লিপ্সায় সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে নানা সংগঠন গড়ে উঠেছে৷ এদের কেউ কেউ শাসকদলের তোষণ করে চলেছে৷ আরও কিছু সংগঠন আছে, যারা প্রকৃত শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের ও শিক্ষার স্বার্থে স্লোগানসর্বোচ্চ কর্মসূচি ছাড়া কোনও প্রকৃত আন্দোলনে অংশ নেয় না৷ এদের দ্বারা শিক্ষক শিক্ষা কর্মী সমাজ বিভ্রান্ত হয়৷ এই রকম পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি একমাত্র সংগঠন যারা শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও শিক্ষার স্বার্থ বিরোধী যেকোনও সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র আন্দোলন, প্রতিবাদ গড়ে তুলেছে৷ এই ধারা আগামী দিনেও জারি থাকবে৷’’

STEA দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ও শিক্ষক আন্দোলনে বরাবরই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। তাই পশ্চিমবঙ্গে ভবিষ্যতের শিক্ষা-শিক্ষক আন্দোলনের স্বার্থে, জেলার সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ-সুসংগঠিত করতে ও মাধ্যমিক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের জ্বলন্ত দাবিগুলি আদায়ের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে জেলার সমস্ত শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের সম্মেলনের প্রকাশ্যে অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি৷’’ জেলার পাঁচটি মহকুমা থেকে প্রায় ২৫০ নির্বাচিত প্রতিনিধি এই সম্মেলনের প্রতিনিধি অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে জানান অনিমেষবাবু৷  এবারের সম্মেলনে নবনির্বাচিত জেলা কমিটিতে বেশ কিছু নতুন মুখ আসতে পারে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 5 =