ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পিছনে কারা? কোন দিকে সন্দেহের তির?

কলম্বো: প্রায় তিন দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু দেখেছে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা সেনার অভিযানে প্রভাকরনের মৃত্যুর পর থেকেই এলটিটিই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। রবিবার ধারাবাহিক বিস্ফোরণে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবরে নতুন করে শিরোনামে চলে আসে এই দ্বীপরাষ্ট্রটি। হামলার পিছনে কারা, তাহলে কি ফের এলটিটিই? ঘুরপাক খেতে শুরু করে নানা প্রশ্ন। তারই

ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পিছনে কারা? কোন দিকে সন্দেহের তির?

কলম্বো: প্রায় তিন দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু দেখেছে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা সেনার অভিযানে প্রভাকরনের মৃত্যুর পর থেকেই এলটিটিই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। রবিবার ধারাবাহিক বিস্ফোরণে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবরে নতুন করে শিরোনামে চলে আসে এই দ্বীপরাষ্ট্রটি।

হামলার পিছনে কারা, তাহলে কি ফের এলটিটিই? ঘুরপাক খেতে শুরু করে নানা প্রশ্ন। তারই মধ্যে শ্রীলঙ্কার পুলিস প্রধান দাবি করেন, সতর্কতা জারি হয়েছিল ১০ দিন আগে। বিদেশি গোয়েন্দাদের থেকে খবর মিলেছিল, বিখ্যাত চার্চগুলিতে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে এনটিজে। কিন্তু এনটিজে কাদের সংগঠন? শ্রীলঙ্কা পুলিস জানাচ্ছে, সংগঠনটির পুরো নাম ন্যাশনাল থোউহিথ জামাত। কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন এই এনটিজে। বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুর করে এক বছর আগে প্রথম নজরে আসে এই সংগঠনটি।

শ্রীলঙ্কায় সংখ্যালঘু তামিল ও সংখ্যাগরিষ্ট সিংহলিদের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ পেরিয়ে এলেও তাতে ভাটা পড়েনি। সিংহলিরা মূলত বৌদ্ধ। আর তামিলদের মধ্যে হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিস্টানরা রয়েছেন। কিন্তু বিবাদ যে আরও গভীরে প্রবেশ করেছে, সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছিল। একটি খ্রিস্টান গোষ্ঠীর দাবি, এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। গত বছর শ্রীলঙ্কার খ্রিস্টানদের উপর হামলা ও হুমকির ৮৬টি ঘটনা ঘটেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 4 =