রাজ্যে দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণে কাজের সুযোগ

কলকাতা: সুযোগ ও সম্ভাবনা যথেষ্ট। কিন্তু পরিকাঠামো এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাবে বাধা পাচ্ছে উন্নতি। বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত একটি সেমিনারে রাজ্যের দুগ্ধ ও কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে এই ছবিটাই উঠে এল বিশিষ্ট বক্তাদের কথায়। সেমিনারের মুখ্য বক্তা বিশিষ্ট খাদ্য বিজ্ঞানী বিজ্ঞানী অধ্যাপক উৎপল চৌধুরী বলেন, সারাদেশে দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বৃদ্ধির

রাজ্যে দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণে কাজের সুযোগ

কলকাতা: সুযোগ ও সম্ভাবনা যথেষ্ট। কিন্তু পরিকাঠামো এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাবে বাধা পাচ্ছে উন্নতি। বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত একটি সেমিনারে রাজ্যের দুগ্ধ ও কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে এই ছবিটাই উঠে এল বিশিষ্ট বক্তাদের কথায়।

সেমিনারের মুখ্য বক্তা বিশিষ্ট খাদ্য বিজ্ঞানী বিজ্ঞানী অধ্যাপক উৎপল চৌধুরী বলেন, সারাদেশে দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বৃদ্ধির হার যেখানে বছরে ৫ শতাংশ সেখানে পশ্চিমবঙ্গে বৃদ্ধির হার মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ। তার মতে এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে লজিস্টিক ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এর পাশাপাশি আধুনিক মেশিন পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী দরকার। কিন্তু বাংলার গ্রাম অঞ্চলে প্রশিক্ষণের তেমন সুযোগ নেই বললেই চলে। এর ফলে ছোট আকারে ব্যবসাও বাস্তবায়িত হতে পারছে না।

যথাযথ প্যাকেজিং এর গুরুত্বের দিকটি তুলে ধরেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্যাকেজিং এর ডেপুটি ডিরেক্টর বিধান দাস। তিনি জানান, খাদ্যের প্যাকেজিং এর ক্ষেত্রে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্টান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া শর্ত মেনে চলতে হয়। সেই সঙ্গেই ক্রেতার নজরকাড়াও হয়ে উঠতে হয় প্যাকেজিংয়ের। এগুলি জানা না থাকলে পণ্য বাজারে পাঠানো যাবে না। এক্ষেত্রেও বড় পরিসরে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দরকার আছে বলে জানান তিনি।

ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ আনিমাল এন্ড ফিশারি চ্যান্সেলর এ কে বন্দ্যোপাধ্যায় ডেয়ারি শিল্পের সম্ভাবনা কে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ভবিষ্যতে তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের থেকেও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হবে ডেয়ারি শিল্প। কেননা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে প্রধানত শহুরে শিক্ষিতরাই় চাকরির সুযোগ পান, ডেয়ারি শিল্প শহর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলের বহু মানুষ কাজ পাবেন। কিন্তু তিনিও মেনে নেন, সারা দেশে মাত্র 23 টি ডিয়ারি কলেজ থাকার কারণে প্রয়োজনের তুলনায় প্রশিক্ষিত ডেয়ারি প্রযুক্তিবিদের সংখ্যা বেশ কম। সরকারি উদ্যোগ, প্রশিক্ষিত কর্মী যোগান এবং সঠিক উৎপাদন ও পরিবহন কাঠামো থাকলে এ রাজ্যের দুগ্ধ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প আরো বেশি সাফল্য পেত, সে বিষয়ে একমত হন সভার বক্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 3 =