পড়ুয়া শূন্য স্কুলে দু’জন শিক্ষক, বিনা পরিশ্রমে মিলছে বেতন

পুরুলিয়া: নেই কোনও পড়ুয়া৷ অথচ আছেন দু’জন শিক্ষক৷ পুরুলিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাওয়ালি মহল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এহেন ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর৷ জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে একজন পড়ুয়া না থাকলেও নিয়োগ হয়েছেন দু’জন শিক্ষক৷ স্থানীয় হাওয়ারি মহল্লা কমিটির একটি ঘরে মধ্যে চলে পড়ুয়া শূন্য স্কুল৷ এই শিক্ষা কেন্দ্রটির নিজস্ব কোন ভবন নেই৷

7e3ed3adb86b2c3476e3a742963c527f

পড়ুয়া শূন্য স্কুলে দু’জন শিক্ষক, বিনা পরিশ্রমে মিলছে বেতন

পুরুলিয়া: নেই কোনও পড়ুয়া৷ অথচ আছেন দু’জন শিক্ষক৷ পুরুলিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাওয়ালি মহল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এহেন ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর৷

জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে একজন পড়ুয়া না থাকলেও নিয়োগ হয়েছেন দু’জন শিক্ষক৷ স্থানীয় হাওয়ারি মহল্লা কমিটির একটি ঘরে মধ্যে চলে পড়ুয়া শূন্য স্কুল৷ এই শিক্ষা কেন্দ্রটির নিজস্ব কোন ভবন নেই৷ নেই পড়ুয়া৷ ফলে মিড ডে মিলের ব্যবস্থাও নেই৷ একটি ঘরের মধ্যেই পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা থাকলেও শূন্য পড়ুয়া৷ তবে, স্কুলের নথিপত্র আছে৷ সরকারি খাতায় মাত্র ৪ জন ছাত্রের নাম থাকলেও একজন পড়ুয়াকেও ওই স্কুলে পাঠান না স্থানীয় অভিভাবকরা৷

তবে, পড়ুয়ারা এল কি না, তাতে কিছু এসে যায় না শিক্ষকদের৷ কারণ, নিয়ম করে মাস পয়লা বেতন যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে৷ বিনা পরিশ্রমে বেতন, কে বা না চায়! তবে, পড়ুয়া না এলেও দু’জন শিক্ষক মহম্মদ আব্বাস ও মনোহর জাবেদ প্রতিদিন নিয়ম করে স্কুলে আসেন৷ বিকেলে ফিরে যান বাড়ি৷ স্কুলে পড়ুয়া না আসার কারণ হিসাবে দুই শিক্ষকের যুক্তি, অন্য স্কুলে তুলনাময় এখানে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে৷ নেই মিড ডে মিল৷ তাই এই অবস্থা৷

গোটা বিষয়টি নজরে আসতেই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক পরিদর্শক জানিয়েছেন, একজন শিক্ষককে স্কুল থেকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হবে৷ যদি দেখা যায় কোন ছাত্র-ছাত্রী পঠন-পাঠনের জন্য স্কুলে আসছেন আসছে না সেক্ষেত্রে বাকি শিক্ষককেও অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পড়ুয়া না থাকা স্কুলে কীভাবে দু’জন শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে বসে বসে মাইনে গুনছেন? যখন বাংলার অন্যান্য স্কুলে শিক্ষক না থাকায় পঠন-পাঠন লাটে ওঠার জোগাড়, তখন কেন তাঁদেরকে এখনও পর্যন্ত বদলি করানও হয়নি৷ কেনই বা এই ধরনের তথ্য শিক্ষা দপ্তরের কাছে ছিল না৷ এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *