নুন-ভাতের পর এবার মুড়ি-পিঁয়াজ, বিতর্কে বাংলার এই স্কুল

কলকাতা: মিড ডে মিলে নুন ভাত বিতর্কের পর এবার পড়ুয়াদের পাশে পড়ল মুড়ি-পিঁয়াজ৷ কাঠগড়ায় হাওড়ায় বালির প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ বালির অশুত্থতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আজ দেওয়া হয়নি কোনও খাবার৷ সোমবার দেওয়া হয়েছিল মুড়ি আর পিঁয়াজ৷ কিন্তু, কেন এই পরিস্থিতি? বালির অশুত্থতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, রান্নার গ্যাস খারাপ হওয়ার দরুন আজ মিড ডে মিল রান্না করা

নুন-ভাতের পর এবার মুড়ি-পিঁয়াজ, বিতর্কে বাংলার এই স্কুল

কলকাতা: মিড ডে মিলে নুন ভাত বিতর্কের পর এবার পড়ুয়াদের পাশে পড়ল মুড়ি-পিঁয়াজ৷ কাঠগড়ায় হাওড়ায় বালির প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ বালির অশুত্থতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আজ দেওয়া হয়নি কোনও খাবার৷ সোমবার দেওয়া হয়েছিল মুড়ি আর পিঁয়াজ৷ কিন্তু, কেন এই পরিস্থিতি?

বালির অশুত্থতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, রান্নার গ্যাস খারাপ হওয়ার দরুন আজ মিড ডে মিল রান্না করা যায়নি৷ সোমবারও একই সমস্যা দেখা গিয়েছিল৷ আর সেই কারণে পড়ুয়াদের পাতে মুড়ি-পিঁয়াজ দেওয়া হয়েছে৷

সোমবার মুড়ি-পিঁয়াজ দেওয়ার পর আজ পড়ুয়াদের পাতে খাবার জোটাতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ আর তার জেরে স্থানীয়দের উদ্যোগের পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হয় কেক ও বিস্কুট৷ স্থানীয়দের দেওয়া খাবার পেয়ে খিদে মাটায় পড়ুায়ারা৷

গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা৷ স্কুলে এই উদাসীনতা ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ হুগলির স্কুলে মিড-ডে মিলে নুন-ভাত দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর স্কুলে স্কুলে নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী৷ পড়ুয়ারা যেতে পেট ভোরে ডাল-ভাত খেতে পারে, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর পড়ুয়াদের পাতে পিঁয়াজ-মুড়ি দেওয়াকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷

এই বিতর্ক প্রসঙ্গে শিক্ষক নেতা তন্ময় ঘোষ বলেন, এই ঘটনা অপ্রত্যাশিত৷ বর্তমানে রাজ্যে মিড ডে মিল ইস্যুতে অনেক জলঘোলা হয়েছে৷ তাই শিক্ষকদের এই স্পর্শকাতর বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত ছিল৷ একথা ঠিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়৷ ফলে রান্নার সরঞ্জাম ঠিক ঠাক আছে কি না, এটা দেখে নেওয়ার সুযোগ হয়নি৷ কিন্তু তাঁর দায়িত্ব শুধু শিক্ষকদের ওপর বর্তাবে কেন? সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের রান্নার কর্মী ও খাদ্য সরবরাহকারী গোষ্ঠীকে এর দায়িত্ব নিতে হবে৷ কারণ তাঁরাই তো হেঁসেলের দায়িত্ব সামলান৷ ফলে রান্নার সরঞ্জাম ঠিক আছে কি না এটা তাঁদের জানার কথা৷ শিক্ষকদের নয়৷ যেহেতু রান্নার তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে জানাতে হয়৷ তাই সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের উচিত ছিল পিঁয়াজ-মুড়ি না দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সমস্যার কথা জানিয়ে রান্না বন্ধ রাখা৷ মিড ডে মিল চালানোর দায়িত্ব শিক্ষকদের নয়৷ এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রায় আছে৷ ফলে সরঞ্জাম খারাপ থাকার কারণে রান্না বন্ধ থাকলে আইনগত শিক্ষকদের কোনও সমস্যা হত না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + 2 =