কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে লাগামছাড়া দুর্নীতি! রিপোর্টে প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সিএজি৷ মিড ডে মিলে চূড়ান্ত দুর্নীতি৷ কথাও নুন-ভাত, কোথাও আবার মুড়ি- চানাচুর দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের পাতে৷ এই নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে বাড়ছে অসন্তোষ৷ আর এই বিতর্কিত পরিস্থিতি রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল শিক্ষা দপ্তর৷
জানা গিয়েছে, এক লপ্তে ২৯ জন ডিআই ও এডিআইকে বদলি করা হয়েছে৷ ৪ জন ডিআইয়ের হাতে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ভার তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷ আধিকারিকদের কাজে সন্তুষ্ট না হয়ে কি এই বদলি? রুটিন বদলি বলেই দাবি করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর৷ বিতর্ক এড়াতেই কী এবার এক লপ্তে ২৯ ডিআই ও এডিআইকে বদলির সিদ্ধান্ত? উঠছে প্রশ্ন৷
পর্যবেক্ষক মহলের প্রশ্ন, এক লপ্তে ২৯ জন ডিআই ও এডিআইকে বদলি করে পুরানো রোগে আদৌ ওষুধ দেওয়া সম্ভব? আদতে কি মিড ডে মিলের দুর্নীতি রোখা যাবে? শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি আদৌ কী ঠেকানো যাবে? কেননা স্কুলে শূন্যপদ সংখ্যা জানিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হলেও এখনও তা প্রকাশ্যে আসেনি৷ তার উপর রয়েছে মিড ডে মিলের দুর্নীতি৷ এবার বদলিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই বিতর্ক কাটানো সম্ভব? প্রশ্ন পর্যবেক্ষক মহলের৷
অন্যদিকে, আবেদন করেও মিলছে না শিক্ষকদের বদলির সুযোগ৷ কিন্তু মন্ত্রী-আমলার সুপারিশে নিয়ে অনেকেই পেয়ে যাচ্ছেন বাড়ির কাছে বদলি৷ একাংশ সুবিধা পেলেও অধিকাংশ শিক্ষকই আবেদন করেও বদলির সুযোগ পাচ্ছেন না৷ মিউচুয়াল ট্রান্সফার বন্ধ থাকায় দিনে দিনে জমছে শিক্ষকদের অন্দরে ক্ষোভ৷ এমনিতেই গ্রেড-পে বৃদ্ধি সহ নানান দাবি-দাওয়া রয়েছে শিক্ষকদের৷ বেতন বৃদ্ধির সেই দাবি পূরণ না হলেও বিদলির আবেদন প্রক্রিয়ায় গড়িমসির অভিযোগ এবার শিক্ষকদের৷ কেননা, দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে বদলি প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় বাড়ছে ক্ষোভ৷ কিন্তু, স্কুল শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা না করে এক লপ্তে ২৯ জন ডিআই ও এডিআইকে বদলি ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক৷