আলিপুর: স্কুল আছে৷ আছে পেল্লাই বাড়ি৷ স্কুলবাড়ির দেওয়া করা হয়েছে নীল-সাদা রঙ৷ আছে প্রায় হাজার খানিক পড়ুয়ারা৷ শিক্ষকরাও আসেন৷ চলেও যান৷ কিন্তু, প্রায় ৫০ বছর অতিক্রান্ত হওয়া স্কুলে আজও জোটেনি পাকা রাস্তা৷ পায়ে চলা কাদা-মাটির পথ মাড়িয়ে কার্যত স্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন পড়ুয়ারা৷ বাংলার স্কুলের এহেন বিজ্ঞাপন এবার উঠে এল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলপি এলাকা থেকে৷
হরিণখোলা ডুবায় অধীশ্বর জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষক তন্ময় ঘোষ জানিয়েছেন, প্রায় ৫০ বছরের পুরানো এই স্কুল৷ হাজারখানিক পড়ুয়া রয়েছে৷ কিন্তু, স্কুলে যাওয়ার জন্য নেই কোনও পথ৷ পাকা রাস্তা তৈরির দাবিতে আমারা প্রশাসন থেকে পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি৷ কিন্তু, তারা কোন ভাবে কিছু করেছেন না৷ আর তার জেরে বর্ষার সময় কাদামাটি পায়ে মেখে পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে বাধ্য হচ্ছে৷ পাকা রাস্তা না থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা৷ আহত হচ্ছেন পড়ুয়ারা৷’’
স্কুলে পাকা রাস্তা না থাকায় বর্ষার সময় চূড়ান্ত সমস্যায় পড়তে হয় পড়ুয়াদের৷ এমনকি বর্ষায় স্কুলের সামনে জমে জল৷ আর তাতেই বাড়ে বিপত্তি৷ স্কুলের সামনে জল জমে গেলে স্কুলে আসতে সমস্যায় পড়েন পড়ুয়ারা৷ স্কুল মাঠে জল জমে গেলে উপদ্রব বাড়ে সাপের৷ কখন কখন স্কুলের মধ্যেই ঢুকে পড়ে বিষধর৷ ফলে, আতঙ্ক বাড়তে থাকে পড়ুয়াদের মধ্যে৷ যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ারও আশঙ্কা থেকে যায়৷
পাকা রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ৷ স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সমস্যা সমাধানের কোনও উদ্যোগ না দেখে এবার সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হলেন ওই স্কুলের শিক্ষক৷ জানালেন, পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে পাকা করা হোক স্কুলের রাস্তা৷