ঘাটাল: বিদ্যাসাগরের ২০০ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সাজিয়ে তোলা হয়েছে নীল-সাদা মঞ্চ৷ কিন্তু, এত আয়োজনের পরও বিদ্যাসাগরের সেই বীরসিংহ গ্রামে আজও নিরক্ষতার অন্ধকারে৷
পরিসংখ্যান বলছে, ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামে নিরক্ষরতার সংখ্যা প্রায় ২২.৫ শতাংশ৷ ২০১১ সালের শেষ জনগণনা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বিদ্যাসাগরের গ্রাম বীরসিংহ মোট জনসংখ্যা ৩০২৬ জন৷ এরমধ্যে স্বাক্ষরের সংখ্যা ২০০৩ জন৷ নিরক্ষর ৬৮৩ জন৷ অর্থাৎ শতাংশ হিসেবে যা ২২.৫ শতাংশের কাছাকাছি৷
যদিও ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৫৫ সালে সরকারি স্কুল পরিদর্শকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন৷ সেই সময় তিনি নদীয়া, হুগলি, বর্ধমান, মেদিনীপুর জেলায় বহু স্কুল নির্মাণ করেছিলেন৷ দু’বছরের মধ্যে মেয়েদের জন্য ৩৫টি স্কুল নির্মাণ করেছিলেন৷ বীরসিংহ গ্রামে নিজের খরচে তৈরি করেছিলেন স্কুল বিদ্যাসাগর৷
কিন্তু, আশ্চর্যের বিষয় সেই বিদ্যাসাগরের গ্রাম আজও নিরক্ষরতার অন্ধকারে ডুবে রয়েছে৷ বাম আমলে এই গ্রামের স্বাক্ষর করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে সেই কাজ আর খুব একটা এগোয়নি বলে অভিযোগ৷ আর তার জেরে এবার বিদ্যাসাগরের দ্বিশতবর্ষ জন্মদিবসেও নিরক্ষরতার অন্ধকারে ডুবে রয়েছে বিদ্যাসাগরের নিজের গ্রাম৷
এই বীরসিংহ গ্রাম থেকেই বাবার সঙ্গে শহরে এসেছিলেন বিদ্যাসাগর৷ রাস্তার মাইলফলক দেশে ইংরেজি শব্দ ছিলেন তিনি৷ এবার ২০০ বছর পরও বিদ্যাসাগরের গ্রামের পৌঁছাল না বিদ্যার আলো৷ গোটা ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা৷