‘ফ্রি বাজার’ খুলে পড়ুয়াদের পোশাক বিলিয়ে আনন্দ ছড়ালেন শিক্ষক

কাঁথি: শিক্ষকের কাজ যে শুধুমাত্র পুঁথীগত পাঠ দানই নয়, তা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের স্কুল শিক্ষক সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম৷ তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন শুধু পড়াশোনা শিখেই কেউ ভালো মানুষ হয় না৷ ভালো মানুষ হতে গেলে সমাজের কল্যাণের কথা ভাবা অতি আবশ্যক৷ এলাকার দুঃস্থ মানুষদের জন্য ‘বিনা পয়সার বাজার’ তৈরি করে তিনি সেই শিক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের বেশ

কাঁথি: শিক্ষকের কাজ যে শুধুমাত্র পুঁথীগত পাঠ দানই নয়, তা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের স্কুল শিক্ষক সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম৷ তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন শুধু পড়াশোনা শিখেই কেউ ভালো মানুষ হয় না৷ ভালো মানুষ হতে গেলে সমাজের কল্যাণের কথা ভাবা অতি আবশ্যক৷ এলাকার দুঃস্থ মানুষদের জন্য ‘বিনা পয়সার বাজার’ তৈরি করে তিনি সেই শিক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের বেশ ভালোভাবেই দিতে পেরেছেন৷ এবার তাঁরই দেখানো পথ অনুসরণ করলেন কাঁথির এক শিক্ষক শ্যামল জানা৷

সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষগুলির মুখে হাসি ফোটাতে কন্টাইয়ে ‘ফ্রি বাজার’ আয়োজন করেন তিনি৷ শুধুমাত্র পুরানো পোশাকই নয়, বাজার সাজানো হয় নয়া পোশাক দিয়েও৷ কারণ, শারদোৎসবে দুঃখী মানুষদের সুখ দিতে কাঁথির শ্রী রামকৃষ্ণ সারদাশ্রমে ‘ফ্রি বাজারে’র পসরা সাজান শ্যামল৷

আরও পড়ুন: ‘বিনা পয়সার বাজারে’ পোশাক পছন্দের আনন্দ বিলিয়ে চলেছেন শিক্ষক

সম্প্রতি ‘ফ্রি বাজারে’র আয়োজন করেন শ্যামল৷ আর কথামতো তাঁর এই বাজারে ভিড় দেখা যায় অনেক দুঃখী মানুষের৷ আর পাঁচটা বড় বড় দোকানগুলির মতই সাজানো হয় এই বাজার৷ বাজারে সাজানো পোশাকগুলির মধ্যে নিজেদের পছন্দের পোশাক বেছে নিতে দেখা যায় দুঃখী মানুষগুলিকে৷ হাতে নতুন জামা আর চোখে মুখে প্রাপ্তির অফুরন্ত আনন্দ৷ সেইসঙ্গে অফুরন্ত ভালোলাগার ছাপ দেখা গেল শ্যামলের মুখেও৷ পোশাক ছাড়াও চাল, ডাল, তেল, নুন দিয়েও সাজানো হয় এই বাজার৷ শ্যামলের কথায়, প্রতিটি মানুষের অতি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলির মধ্যে এক হল খাদ্য৷ সেকারণে শুধু পোশাক দিয়ে নয়, দুঃখী মানুষগুলিকে আনন্দ দিতে হলে খাদ্যেরও প্রয়োজন রয়েছে৷ তাই পোশাকের সঙ্গে খাদ্য দ্রব্যেগুলি দিয়ে বাজার সাজান তিনি৷

‘ফ্রি বাজার’ খুলে পড়ুয়াদের পোশাক বিলিয়ে আনন্দ ছড়ালেন শিক্ষক

শ্যামল একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক৷ শিক্ষকতার পাশাপাশি মানুষের পাশে দাঁড়ানোকেও নিজের প্রাথমিক দায়িত্ব বলে মনে করেন তিনি৷ তাই শুধু ‘ফ্রি বাজার’ নয়, আরও অনেক সমাজ কল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি৷ একজন নিঃসন্তান দম্পতিকে সারাবছরের খাদ্য সামগ্রি উপহার দেওয়া, বিকলাঙ্গ মহিলাকে ট্রাই সাইকেল উপহার দেওয়া, এই সবকিছুই তাঁর সেই কাজের আওতায় রয়েছে৷ সমাজে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম৷ একজন শিক্ষকই পারেন যুব সমাজকে ভালো মন্ত্রে প্রভাবিত করে মানুষের মতো মানুষ তৈরি করতে৷ সৈয়দ তৌফিকুল কিংবা শ্যামল জানারা যে শিক্ষকের সমস্ত ভূমিকা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন, তা বলাই বাহুল্য৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =